যশোর প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার পরীক্ষা স্থগিত করল প্রশাসন

0
148
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি)

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) ২৬টি বিভাগের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা ও পাঠদান বন্ধ রেখে ১২ দফা দাবিতে ডাকা আন্দোলন স্থগিত করেছে ছাত্রলীগ। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আশ্বাস পেয়ে তারা ওই আন্দোলন স্থগিত করে। এদিকে আন্দোলনের কারণে ঈদের আগে সব পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

আন্দোলনের তৃতীয় দিন আজ সোমবার সকাল ৯টার দিকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে ১২ দফা দাবি আদায়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। বিভিন্ন দাবিসংবলিত ব্যানার প্ল্যাকার্ড নিয়ে তাঁরা বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছিলেন। মাঝেমধ্যে তাঁরা প্রতিবাদী গান, কবিতা পরিবেশন করেন। এর মধ্যে বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছাত্রলীগের আন্দোলনস্থলে গিয়ে তাদের দাবি-দাওয়ার বিষয়ে কথা বলেন। আগামী ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে ১০ তলাবিশিষ্ট নতুন একাডেমিক ভবনে লিফট স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দিলে ছাত্রলীগের কর্মীরা আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন।

তবে এ সময় আন্দোলনরত ছাত্রলীগের নেতাদের সঙ্গে উপাচার্যের তুমুল বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হয়ে উঠছে বুঝতে পেরে উপাচার্য নিজের দপ্তরে ফিরে যান।
ছাত্রলীগের আন্দোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ছাত্রলীগের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসেছি। আমি তো মনে করি, আজকের তাদের বিক্ষোভ শেষ করা উচিত। কারণ, তাদের দাবি অনুযায়ী নতুন ভবনে আগামী ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে অন্তত দুটি লিফট স্থাপন করে চালানো হবে বলে তাদের জানানো হয়েছে। লিফট ক্যাম্পাসেই রয়েছে। বুঝে নেওয়া কমিটি লিফট বুঝে নিচ্ছে না বলে এই সংকট সৃষ্টি হয়েছে।’

উপাচার্য বলেন, ঈদের আগে ২৪ জুন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। তবে পাঠদান কার্যক্রম চলবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিস্টার ফি কমানো; নবনির্মিত ভবনের লিফট স্থাপন ও দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি বিকৃত করার মামলায় চূড়ান্ত অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অব্যাহতিসহ ১২ দফা দাবিতে ছাত্রলীগ গত শনিবার বিকেল থেকে এই আন্দোলন শুরু করে। সন্তোষজনক সুরাহা না হওয়ায় রোববার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের পরীক্ষা ও ক্লাস বন্ধ করে দেওয়া হয়।

আন্দোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সোহেল রানা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আন্দোলনস্থলে এসে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, আগামী ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে নবনির্মিত স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু ভবনে লিফট স্থাপন করা হবে। তাঁর প্রতি সম্মান জানিয়ে আমরা ১৫ জুলাই পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি স্থগিত করেছি।’

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.