গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী জায়েদা খাতুন বলেছেন, ‘যতই মারামারি করুক, আমি মাঠ ছাড়ব না। আজমত উল্লা (আওয়ামী লীগ–মনোনীত প্রার্থী) তো পুরান লিডার (নেতা), আমি তো নতুন। উনি একটা দল করেন; আর আমি এককভাবে নির্বাচন করি। আমার প্রতি এত অত্যাচার কেন? এ অত্যাচারের কি বিচার হবে না?’
গতকাল শনিবার রাত ১১টার দিকে গাজীপুরের ছয়দানা এলাকায় নিজ বাড়িতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জায়েদা খাতুন এসব কথা বলেন। গতকাল বিকেলে টঙ্গী পূর্ব বউবাজার এলাকায় জায়েদা খাতুনের গণসংযোগে হামলা চালিয়ে গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে তাঁর ছেলে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন।
টঙ্গীতে জাহাঙ্গীরের মায়ের গণসংযোগে আবারও হামলা
সংবাদ সম্মেলনে জায়েদা খাতুন বলেন, ‘আমার ভোটটা আমি ঠিকমতো কীভাবে পাব? আমি তো এখনই বুঝতাছি, ভোট ঠিকমতো পাব না। আপনারা দোয়া করেন, আমি যেন ২৫ তারিখ পর্যন্ত সুস্থ থাকি। আমি ২৫ তারিখ পর্যন্ত ভোটের আশায় থাকব।’
জায়েদা খাতুন আরও বলেন, ‘৫৭টি ওয়ার্ডে গেলে সবাই ভোট দিতে চায়। কিন্তু টঙ্গীতে গেলেই হামলা করে। যে কয় দিন গেছি, হামলা হয়েছে। দুদিক দিয়ে হামলা করে, পিডাপিডি করে। গাড়ি তো দেখছেন কীভাবে ভাঙচুর করছে। সাংবাদিকদেরও গাড়ি ভাঙছে। আমাদের সঙ্গে যারা ছিল, তাদের ওপর হামলা করেছে, রক্তাক্ত করেছে। সব বস্তির পোলাপান আমাদের ওপর লাগাইছে। আমাদের লোক তো আজমত উল্লাকে হামলা করে না। আজ হামলার পর পুলিশ আমাকে বাসায় দিয়ে গেছে।’ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য জায়েদা খাতুন সরকার ও নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
আমাকে এবং আমার ছেলেকে মারার জন্য চেষ্টা করছে: জায়েদা খাতুন
সংবাদ সম্মেলনে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘এই হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। আমি ঘড়ি মার্কার প্রার্থী জায়েদা খাতুনের প্রধান সমন্বয়ক। নির্বাচনের আর তিন দিন বাকি রয়েছে। এই মুহূর্তে দুদক আমাকে তলব করেছে। এটির মাধ্যমে কী প্রমাণিত হয়? আমি দুদকের কাছে সময় চেয়েছি।’