উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং এর কাছাকাছি এলাকায় গত শুক্রবার থেকেই একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছিল। তবে এটি দুর্বল হয়ে গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে বলে আজ রোববার সকালে আবহাওয়ার বার্তায় জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তারা জানিয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর বিস্তার ঘটেছে দেশের পাঁচ বিভাগে।
মে মাসের একেবারে শেষে বা জুনের প্রথম সপ্তাহে দেশে মৌসুমি বায়ুর প্রবেশ ঘটে। এতে বৃষ্টি হয়। আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাবে সাধারণত ৩১ মে মৌসুমি বায়ু উপকূলীয় জেলা কক্সবাজারের টেকনাফ অঞ্চল হয়ে দেশে প্রবেশ করে। পরদিন তা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, উত্তর-পূর্বের সিলেট এবং ধীরে ধীরে দেশের মধ্যাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। এবার ৮ জুন মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশে প্রবেশ করে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়। এর প্রভাবে ওই দিন থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি শুরু হয়। পরদিন শুক্রবার বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়ে।
আজ সকাল নয়টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার বার্তায় বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ু বরিশাল, চট্টগ্রাম, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগ পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে। আর এর প্রভাবে রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে মৌসুমি বায়ু দেশের পুরো অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তর দেশের ৪৪টি স্টেশনের আবহাওয়ার বার্তা তুলে ধরে প্রতিদিন। দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৩টি স্টেশনে বৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে চট্টগ্রাম ও মাইজদীকোর্টে—৬২ মিলিমিটার। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় রাজশাহীতে—৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানী ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ দিনভর দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।