ভুটানের বিপক্ষে ২০১৬ সালে ৩-১ গোলের ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ। এই হারের পরেই ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে পড়ে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এরপর প্রায় আটটি বছর পার হলেও মুখোমুখি হয়নি দুই দল। তবে আট বছর পর ভুটানের বিপক্ষে মাঠে নেমে পুরোনো হারের প্রতিশোধ নিয়েছে জামাল-তপুরা।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) চ্যাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে প্রীতি ম্যাচে ভুটানকে ১-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচের এক মাত্র গোলটি করেন তরুণ ফুটবলার মোরসালিন।
এদিন ম্যাচের শুরুতেই মোরসালিনের গোলে এগিয়ে যায় বাংলাাদেশ। এই গোলের পেছনে বাংলাদেশের ফরোয়ার্ডের কৃতিত্বের চেয়ে ভুটানের গোলরক্ষকের ব্যর্থতাই বেশি। পঞ্চম মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে বাংলাদেশের ক্রস বক্সে গ্রিপে নিতে পারেননি ভুটানি গোলরক্ষক। হাত ফস্কে বল পড়ে মোরসালিনের পায়ে। মোরসালিন একটু সামনে এগিয়ে জালে বল পাঠাতে ভুল করেননি।
এক গোলে পিছিয়ে থেকে ১৯ মিনিটে ভুটান সুযোগ পায়। সতীর্থের থ্রু থেকে অধিনায়ক নিমা ওয়াংদি বক্সের ভিতরে বল পেয়ে শট নিলেও আগুয়ান গোলকিপার মিতুল শরীর দিয়ে রুখে দেন। পরের মিনিটে কর্নার থেকে ইয়েশিয়ে গেইলশেনের হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
প্রধমার্ধের শেষ দিকে এসে মাঠে পড়ে যান রাকিব হোসেন। উচ্চতা সমস্যার কারণে শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হচ্ছিল কিনা বোঝা যাচ্ছিল না। তবে পরে জানা যায়, পায়ে চোট পেয়ে পড়ে গিয়েছিলেন। তার পাশাপাশি স্ট্রেচার বয়ে আনা এক কর্মীও মাঠে এসে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। অ্যাম্বুলেন্সও আনা হয়। তাই ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠে স্বাগতিকরা। কিন্তু অনেকগুলো সুযোগ পেলেও ফিনিশিংয়ের অভাবে জালের দেখা পায়নি ভুটান। অন্যদিকে পাল্টা আক্রমণ করেও গোলের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠে ছাড়ে মোরসালিন-তপুরা।