টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব (ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভী অনুসারী) শেষ হয়েছে। এ পর্বে আখেরি মোনাজাত বেলা ১১টা ১৭ মিনিটে শুরু হয়ে ১১টা ৪৩ মিনিটে শেষ হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বড় ছেলে মাওলানা ইউছুফ বিন সাদ।
মোনাজাত শেষে সড়ক-মহাসড়ক ধরে দলে দলে বাড়ি ফিরছেন মুসল্লিরা। কেউ উঠেছেন বাসে, কেউ পিকআপ ভ্যানে, আবার অনেকেই ঝুঁকি নিয়ে উঠেছেন ট্রেনের ছাদে। তবে ঢাকা ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকার মুসল্লিরা যানবাহনের আশায় না থেকে পায়ে হেঁটেই বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন।
মোনাজাত শেষে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে মানুষের ঢল নামে। মুসল্লিদের চলাচলের সুবিধার্থে মোনাজাত শুরুর আগেই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় জেলা প্রশাসন।
টঙ্গীর তুরাগ তীরে চলমান ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে ৬৫ দেশে ৯২৩১ জন বিদেশি মেহমান অংশ নিয়েছেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দ্বিতীয় পর্বের মিডিয়া সমন্বয়ক মোহাম্মদ সায়েম। তিনি বলেন, বিদেশি মেহমানদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের বাংলা ভাষার ২৭৫৯ জন, উর্দু ২৬৬২ জন, ইংলিশ ২৬১৫ জন ও আরব ৭৩২ জন। এছাড়া ১৯০ জন বিদেশি ছাত্র এবং অন্যান্য ১২৭৩ জন মুসল্লি ইজতেমায় অংশ নিয়েছেন। এছাড়াও ৬৫টি দেশের মধ্যে ভারত, পাকিস্তান, কুয়েত, সৌদি আরব, শ্রীলঙ্কা, সুদান, আফগানিস্তান, জাপান, ওমান, কানাডা, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, অষ্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, সিঙ্গাপুর, ইতালি, জর্দান ও যুক্তরাজ্য থেকে অনেকে অংশ নেন।
ইজতেমা এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে শত শত নারী আশপাশের মিল-কারখানা ও বাসাবাড়ির ভেতর অপেক্ষা করেছেন। বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের তাশকিল কামরার পাশে প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ব্যবস্থায় দুই শতাধিক প্রতিবন্ধী মোনাজাতে অংশ নিবেন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) কমিশনার মাহাবুব আলম বলেন, প্রথম পর্বের মত শনিবার রাত ১২টা থেকে টঙ্গী-কামারপাড়া রোড, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী থেকে গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস পর্যন্ত এবং আবদুল্লাহপুর থেকে আশুলিয়ার বাইপাইল পর্যন্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ। এ ছাড়া ময়মনসিংহ ও গাজীপুরগামী যানবাহনগুলোকে গাবতলী দিয়ে কোনাবাড়ী হয়ে এবং ময়মনসিংহ থেকে ঢাকাগামী যানবাহনগুলোকে ভোগড়া বাইপাস দিয়ে ৩০০ ফিট রাস্তা ব্যবহার করে চলাচল করতে বলা হয়েছে। এ সময় এসব সড়ক হয়ে কোনো পণ্যবাহী গাড়ি বা যান চলতে দেওয়া হবে না।
মোনাজাত শেষে শহিদুল্লাহ বলেন, অনেক ইচ্ছা ছিল সবার সঙ্গে ইজতেমার মোনাজাতে অংশ নেওয়ার। শেষ পর্যন্ত ইচ্ছা পূরণ হলো।