মোংলায় দুটি ভোল মাছ বিক্রি সাড়ে ১৮ লাখ টাকায়

0
190
ব‌ঙ্গোপসাগরে জেলে ফারু‌ক হোসেনের জা‌লে ধরা পড়া দা‌তিনা ভোল মাছ। শনিবার সন্ধ্যায় মোংলা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে, ছবি: সংগৃ‌হীত

আড়ত মালিক আল আমিন বলেন, গত বছরের অক্টোবর মাসের প্রথম দিকে পাঁচ মাসের জন্য বঙ্গোপসাগরের পাঁচটি চরাঞ্চ‌লে শুঁটকি তৈরির জন্য মৎস্য শিকারে যান অনেক জে‌লে। এর মধ্যে মোংলার জয়মনির ঘোল এলাকার জেলে ফারুক হোসেনও আছেন। গতকাল শুক্রবার রাতে সাগরে তাঁর জালে ধরা প‌ড়ে দুটি বড় আকারের দাঁতিনা ভোল মাছ। শেষ রাতে সাগর থেকে দুবলার চরে এসে সেখানকার মৎস্য আড়তে মাছ দুটিকে নিলামে তোলেন তিনি। ওই নিলামে ২০ থেকে ২৫ জন দরদাতার মধ্যে সর্বোচ্চ দাম হাঁকেন মোংলা বাজারের মাছ ব্যাবসায়ী আল আমিন। তি‌নি মাছ দুটিকে ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকায় কিনে নেন। এর মধ্যে বড় মাছটির ওজন ৩৬ কেজি ৫০০ গ্রাম, দাম ওঠে ১১ লাখ টাকা এবং ছোট মাছটির ওজন হয় ২৭ কেজি, দাম ওঠে ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। বিরল প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ দুটির প্রতি কেজির মূল্য পড়েছে ২৯ হাজার ১৩৩ টাকা।

মাছ দুটি‌কে সঠিক পদ্ধতি‌তে সংরক্ষণ ও মোড়কজাত করার পর বেশি দা‌মে বি‌ক্রির উদ্দেশ্যে চট্টগ্রা‌মে পাঠা‌নো হয়েছে বলে জানিয়েছেন আল আমিন।

মোংলা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ও মৎস্য সমবায় সমিতির সভাপতি মো. আফজাল ফরাজী বলেন, সুন্দরবনের নদ-নদীতে এই প্রজা‌তির মাছ পাওয়া যায় না বল‌লেই চ‌লে। এ মা‌ছের ফুলকা বি‌দে‌শে রপ্তা‌নি করা হয়, যা দি‌য়ে ওষুধ তৈ‌রি করা হয়। গত ১০ বছরে মোংলা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র দাঁতিনা ভোল মাছ আসেনি। দুবলার চর থেকে কেনা মাছ দুটি চট্টগ্রামে আরও বেশি দামে বিক্রি হবে বলেও মনে করেন আফজাল ফরাজী।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.