মেট্রোরেলে নতুন করে ১২ হাজার কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে মোট্রোরেল উদ্বোধন উপলক্ষে সুধী সমাবেশে বক্তব্যে এ কথা জানান তিনি।
মেট্রোরেলের উদ্বোধন উপলক্ষে রাজধানীর উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টরের মাঠে আয়োজিত সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুধী সমাবেশের মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন। তার আগে তিনি উদ্বোধনীস্থলে পৌঁছান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মেট্রোরেল নিজেই একটি মাইলফলক। এই ট্রেনের মাধ্যমে দ্রুতগতিসম্পন্ন বৈদ্যুতিক ট্রেনের যুগে প্রবেশ করলো বাংলাদেশ।
সকাল ১১টার দিকে উদ্বোধনী ফলকের প্রতিরূপ (রেপ্লিকা) জনসম্মুখে উন্মোচন করেন। তার সঙ্গে আছেন ছোট বোন শেখ রেহানা। প্রতিরূপ উন্মোচনের পর মোনাজাত করা হয়।
সুধী সমাবেশের সূচি অনুযায়ী, প্রথমে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করা হয়। স্বাগত বক্তব্য দেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী।
শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বাংলাদেশে জাইকার প্রধান প্রতিনিধি ইচিগুচি তমোহিদে, বাংলাদেশ নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি।
প্রধানমন্ত্রী স্মারক ডাকটিকিট এবং মেট্রোরেলের প্রথম দিনের কাভার উন্মোচন করবেন। সেই সঙ্গে উন্মোচন করবেন ৫০ টাকার স্মারক নোট। এরপর প্রধানমন্ত্রী প্রথম যাত্রী হিসেবে মেট্রোরেলে উঠবেন। এ সময় দুই শতাধিক ব্যক্তি যাত্রী হিসেবে তার সঙ্গী হবেন। তাদের মধ্যে থাকবেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থী, মসজিদের ইমাম, পোশাককর্মী, রিকশা চালক, সবজি বিক্রেতা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী আর সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা।