নোয়াখালীর হাতিয়ার মেঘনা নদীতে ধরা পড়েছে বিশাল আকৃতির দুইটি রানি ইলিশ। নিলামে মাছ দুটির দাম উঠেছে সাড়ে ১১ হাজার টাকায়। এই দামে মাছ দুটি কিনে নিয়েছেন কদর ভাণ্ডারী নামে স্থানীয় এক মাছ ব্যবসায়ী।
শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে প্রায় ৫ কেজি ওজনের মাছ দুটি চেয়ারম্যান ঘাট মৎস্য আড়তে তোলা হয়।
জানা যায়, লক্ষ্মীপুরের রামগতির জেলে মো. বাহার উদ্দিন মেঘনা নদীতে ভোরে রাতে জাল ফেলেন। কয়েক ঘণ্টা পর সেই জাল তুলে আনেন। এ সময় বেশ কিছু ছোট ও মাঝারি ইলিশের সঙ্গে বড় আকারের দুটি রানি ইলিশ ধরা পড়ে। পরে দাম ভালো পেতে মাছ দুটি তিনি চেয়ারম্যান ঘাটের মাছ বাজারে নিয়ে আসেন।
জেলে মো. বাহার উদ্দিন বলেন, সাগরে পোয়া মাছ পাইছি, ইলিশ পাইছি। এর মধ্যে দুইটা বড় রানি ইলিশ পাইছি। ভালো দামে বিক্রি করছি। আলহামদুলিল্লাহ, আমি খুব খুশি।
ব্যবসায়ী কদর ভাণ্ডারী বলেন, আমি ৫ কেজি ওজনের দুটি মাছ সাড়ে ১১ হাজার টাকায় ক্রয় করেছি। ঢাকায় পার্টি আছে, তাদের কাছে পাঠাবো। এই মৌসুমে এত বড় ইলিশ আর ধরা পড়ে নাই। মাছ দুটি ভালো দামে বিক্রি করতে পারবো, ইনশাআল্লাহ।
চেয়ারম্যান ঘাটের আল্লার দান মৎস্য আড়তের স্বত্বাধিকারী ব্যবসায়ী মো. আকবর বলেন, সাগর উত্তাল থাকায় জেলেরা নৌকা নিয়ে পাড়ে অপেক্ষা করছেন। বর্তমানে মাছের আকাল রয়েছে। যার ফলে জেলে, ব্যবসায়ী, আড়তদার, শ্রমিক সবাই ঋণে জর্জরিত। কেউ মাছ পাচ্ছেন, আবার কেউ কেউ পাচ্ছেন না। তবে, কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ মাছ পেলে সবার মুখে হাসি ফুটতো।
হাতিয়া উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা মো. ফাহাদ হাসান বলেন, মেঘনায় প্রায়ই বড় বড় মাছ পাওয়া যায় এবং দামও ভালো পাওয়া যায়। মৎস্য সংরক্ষণে সরকারের দেওয়া বিভিন্ন সময়ে নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করায় নদীতে বড় আকৃতির মাছের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা আশা করছি, সামনে জেলেরা সাগরে বড় আকৃতির মাছ আরও বেশি বেশি পাবেন।