মেঘনা থেকে বালু তুলে বিক্রি, পাড়ে ভাঙন

0
195
বাঞ্ছারামপুরের ইছাপুর গ্রামের পশ্চিম পাশে পুরাতন মেঘনা নদী থেকে বালু তোলা হচ্ছে

বাঞ্ছারামপুরের সোনারামপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আয়নালের বিরুদ্ধে মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। ছয় মাস ধরে বালু তোলার কারণে নদী পাড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদী পাড়ের জমির মালিকরা বালু তুলতে নিষেধ করলেও আমলে নিচ্ছেন না অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আইয়ুবপুর ইউনিয়নের কড়িকান্দি থেকে মেঘনা নদী দশানী, চর শিবপুর, ইছাপুর হয়ে শান্তিপুর দিয়ে প্রবাহিত হতো। কালের বিবর্তনে মেঘনার প্রবাহ বদলে কড়িকান্দি দিয়ে নরসিংদীর সদর উপজেলার চর দিগলদী ইউনিয়নের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে শান্তিপুর গিয়ে মিলিত হয়েছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, ইছাপুর গ্রামের পশ্চিম পাশে পুরাতন মেঘনা নদী থেকে খননযন্ত্র দিয়ে বালু তুলে ইছাপুর গ্রামে বিক্রি করা হচ্ছে। মেঘনা নদীর যে অংশ থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে, এর দুই পাশে ফসলি জমি ও পশ্চিম পাশে বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইনের খুঁটি রয়েছে। নদী থেকে তোলা প্রতি ঘনফুট বালু ইছাপুর গ্রামে বিক্রি হচ্ছে ১২ টাকা দরে।

অনাথ রামপুর গ্রামের শিশু মিয়া জানান, ইছাপুর গ্রামের যুবলীগ নেতা আয়নাল ছয় মাস ধরে মেঘনা নদী থেকে বালু তুলে বিক্রি করে আসছেন। বাধা দিলে উল্টো হুমকি দেন তিনি। বালু উত্তোলনের  কারণে ফসলি জমি মেঘনা নদীতে চলে যাচ্ছে। ইছাপুর গ্রামের শাহ আলম বলেন, ‘আয়নাল অনেক প্রভাবশালী। তাই বাধা দিয়েও কিছু করতে পারছি না।’

অভিযোগের বিষয়ে কথা হয় সোনারামপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আয়নালের সঙ্গে। তাঁর ভাষ্য, তিনি অল্পস্বল্প বালু উত্তোলন করেছেন। তাতে কারও ক্ষতি হচ্ছে না। নৌকা দিয়ে বালু নিয়ে জায়গা ভরাট করছেন। এলাকার কিছু লোক মিথ্যাচার করছেন।

সোনারামপুর ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা এমরান হোসেন জানান, বালু উত্তোলনের বিষয়টি তাঁর জানা নেই। তিনি ঢাকায় রয়েছেন। সরেজমিন দেখে এসিল্যান্ডকে জানাবেন।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী আতিকুর রহমান জানান, খোঁজ নিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.