সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পাওয়া মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর পাশে দেখা গেছে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজকে। মিসবাহও মেয়র পদে দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। গতকাল রোববার সন্ধ্যা সোয়া সাতটায় সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে জেলা আওয়ামী লীগের জরুরি সভায় মিসবাহ ও আনোয়ারুজ্জামান যোগ দেন।
মিসবাহ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির ১ নম্বর সদস্য। সিটি নির্বাচন সামনে রেখে দলীয় প্রার্থীর জয় নিশ্চিতে করণীয় নির্ধারণে এ সভা হয়। রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত টানা সোয়া তিন ঘণ্টা এ সভা চলে। এর আগে বিভিন্ন সময়ে মনোনয়নবঞ্চিত অপর আটজনকেও আনোয়ারুজ্জামানের পাশে দেখা গেছে। তবে মনোনয়ন ঘোষণার পরদিনই যুক্তরাজ্যে চলে যাওয়ায় মেয়র পদে মনোনয়নবঞ্চিত সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেনকে দলীয় প্রার্থীর কর্মসূচিতে দেখা যায়নি। যদিও তাঁর ঘনিষ্ঠজনেরা জানিয়েছেন, দেশে ফিরে জাকির হোসেন দলীয় প্রার্থীর পক্ষে মাঠে নামবেন।
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের জরুরি সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী। সভা সঞ্চালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন খান। সভায় সিলেট সিটিতে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বক্তৃতা করেন।
সভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন, সিলেট-৩ (দক্ষিণ সুরমা ও ফেঞ্চুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহ ফরিদ আহমদ, সুজাত আলী, শাহ মোশাহিদ আলীসহ অন্যরা বক্তৃতা করেন। বক্তারা দলীয় প্রার্থীর জয় নিশ্চিত করতে দলের নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার নির্দেশ দেন। বক্তারা বলেন, উন্নয়নের যাত্রায় সিলেট সিটি করপোরেশনকে সম্পৃক্ত করতে হলে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করতে হবে। আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে বিজয়ী করে তাঁর নেতৃত্বেই সিলেট নগরকে স্মার্ট সিটিতে রূপান্তর করা হবে।
মনোনয়নবঞ্চিত আওয়ামী লীগের নেতা মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘আমিও দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলাম, কিন্তু পাইনি। তবে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা যাঁকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছেন, তাঁর পক্ষেই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। অতীতের ভুলত্রুটিগুলো সংশোধন করে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সংঘবদ্ধভাবে থেকে নৌকার জয় নিশ্চিত করতে হবে।’