আকাশ ছেয়ে আছে ধূসর মেঘে। রোদ নেই। আবছায়ার ঘনঘোর। ঝিরঝিরে বৃষ্টিও হচ্ছে। যেন বর্ষাকাল। শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘ মিগজাউমের’ প্রভাবে এটা হচ্ছে। তবে ঘূর্ণিঝড়টি ক্রমেই শক্তি হারাচ্ছে। বৃষ্টি আর মেঘ কেটে যাবে রোববার থেকে। তখন জেঁকে বসবে শীত। এমনই রয়েছে আবহাওয়ার পূর্বাভাস।
শেষ হেমন্তে এই বৃষ্টিভেজা মেঘমেদুর পরিবেশ ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে। ‘মিগজাউম’ নামটি মিয়ানমারের দেওয়া। এটি একটি বর্মি শব্দ।
গত ২৯ নভেম্বর দক্ষিণ আন্দামান সাগরে একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হয়েছিল। সেটি ক্রমেই ঘনীভূত হয়ে ২ ডিসেম্বর নিম্নচাপে এবং পরের দিন ৩ ডিসেম্বর গভীর নিম্নচাপে রূপ নিয়ে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর ও এর সংলগ্ন এলাকায় ধেয়ে আসে। রূপ নেয় মিগজাউম নামের ঘূর্ণিঝড়ে। ঘূর্ণিঝড়টি এখন দুর্বল হয়ে পড়েছে। আবহাওয়া বিভাগ বলছে, মিগজাউম এখন ভারতের উত্তর অন্ধ্র প্রদেশের দিকে সরে গেছে। আর গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। তবে তার প্রভাব যে একেবারে কাটেনি, তার প্রমাণ মিলছে এই মেঘবৃষ্টিতে।
ঢাকাসহ সারা দেশে গতকাল বুধবার থেকেই হালকা বৃষ্টি হচ্ছে মিগজাউমের প্রভাবে। আবহাওয়া বিভাগের গত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ ঢাকায় সকাল ছয়টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ১০ মিলিমিটার। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে যশোরে ২৬ মিলিমিটার। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল উত্তরের শহর তেঁতুলিয়ায় ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কক্সবাজারে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া দপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান জানান, এই বৃষ্টির ধারা আগামীকাল শুক্রবারও সারা দেশে বর্ষিত হবে। শনিবার থেকে বৃষ্টি কমে আসবে। সম্ভবত রোববার থেকে মেঘ কেটে মুখ দেখাবে সূর্য। ধরণি রোদের স্পর্শ পেলেও শুরু হবে শীতের প্রভাব। তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি কমে যাবে। বৃষ্টির সম্ভাবনা তারপর আপাতত নেই। তাপমাত্রা ক্রমেই কমতে কমতে জেঁকে বসবে শীত। এবার শীত খানিকটা দেরিতেই আসছে। কেন? এই আবহাওয়াবিদ জানালেন, কারণ এই শক্তিশালী মিগজাউম।
ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবেই আবহাওয়ায় শীতের প্রভাব কম পড়েছে। এখন ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কমতে কমতে শেষ হয়ে যাবে এবং প্রবল হয়ে উঠবে শীত।