সৌদি আরবের ক্লাব লিওনেল মেসিকে বিশাল বেতনের প্রস্তাব দিয়েছিল। পিএসজি তাকে ধরে রাখতে চেয়েছিল। বার্সেলোনাসহ ইউরোপের শীর্ষ পর্যায়ের কিছু ক্লাবের প্রস্তাব ছিল তার হাতে।
কিন্তু আর্জেন্টিনার সর্বজয়ী ফুটবলার মেসি বেছে নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টা মায়ামিকে। ৩৬ বছরের মেসি এই সিদ্ধান্তের কারণও জানিয়েছেন।
তিনি পরিবার নিয়ে থাকতে চান, পরিবারকে সময় দিতে চান। প্রতিদিন জয়-পরাজয়ের হিসাব নেই ফুটবলের এই জীবনটা উপভোগ করতে চান।
মায়ামিতে গিয়ে মেসি সেটাই শুরু করে দিয়েছেন। ফুটবল ছেড়ে যেন সংসারী হয়ে উঠেছেন বার্সেলোনার ফরোয়ার্ড। সুপার শপে গিয়ে ট্রলি ঠেলে তার মুদি বাজার করার চিত্র অন্তত তেমনটাই বলছে।
যুক্তরাষ্ট্রে ফুটবলারদের জীবন এমনই। খুব বেশি ম্যাচ খেলতে হয় না। জয়-পরাজয় নিয়ে খুব বেশি ঘাঁটাঘাটি করা হয় না। ইচ্ছে মতো ঘুরে বেড়ানো যায় রাস্তায়।
কিন্তু মেসির সঙ্গে তেমনটা হবে কিনা এখনই বলা কঠিন। কারণ মায়ামি আসার পর তাকে ঘিরে দর্শকদের উন্মাদনা দেখা গেছে। তার সঙ্গে ছবি নিতে, হাতে হাত দিতে ভক্তরা ভিড় করেছেন। এক পুরুষ ভক্ত তো ভিডিও করতে করতে রীতিমতো গালে চুমু দিয়ে দিয়েছেন।
এরপর সুপার শপে মুদি বাজার করতে গিয়েও মেসিকে ঘিরে ভক্তদের বিস্ময় ও ভিড় জমাতে দেখা গেছে। বাজার বন্ধ রেখে দাঁড়িয়ে ভক্তদের সঙ্গে ছবি তুলতে হয়েছে, সেলফির চাহিদা মেটাতে হয়েছে। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, নিরাপত্তারক্ষী ছাড়া মায়ামিতে মেসির বাজার-সদাই করাও কঠিন হবে।