যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষাসংক্রান্ত কয়েক ডজন অতিগোপনীয় নথি ফাঁসের ঘটনায় শোরগোল পড়ে গেছে। সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২১ বছর বয়সী জ্যাক ডগলাস টাশেরা নামের এক যুবককে। তিনি মার্কিন বিমানবাহিনীর এয়ার ন্যাশনাল গার্ডের একজন সদস্য।
স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে জ্যাক ডগলাস টাশেরাকে ম্যাসাচুসেটস থেকে গ্রেপ্তার করেন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই। টাশেরার গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারলান্ড জানান, অনুমতি ছাড়াই জাতীয় প্রতিরক্ষাবিষয়ক অতিগোপনীয় নথি সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও এসব নথি বেহাতের ঘটনায় জ্যাক ডগলাস টাশেরা নামের ওই যুবক জড়িত ছিলেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
জ্যাক ডগলাস টাশেরা ২০১৯ সালে মার্কিন বিমানবাহিনীর এয়ার ন্যাশনাল গার্ডে যোগ দিয়েছিলেন। আইটি বিশেষজ্ঞ জ্যাক টাশেরা মার্কিন বিমানবাহিনীতে সাইবার ট্রান্সপোর্ট সিস্টেমস জার্নিম্যান হিসেবে কাজ করতেন। তাঁর কর্মক্ষেত্র ছিল ম্যাসাচুসেটসের অটিস ঘাঁটিতে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে মাঠপর্যায়ে কাজ করার উদ্দেশ্যে টাশেরা ওই ঘাঁটিতে যান। তাঁর সেখানে এক বছর থাকার কথা ছিল। এর আগেই গ্রেপ্তার হলেন তিনি। ওই ঘাঁটিতে টাশেরার কাজ ছিল নেটওয়ার্ক প্রতিরক্ষা ও অতিগোপনীয় তথ্যের শ্রেণিবিন্যাস করা।
কাজের সূত্রেই গোপনীয় নথি দেখা ও ব্যবহারের সুযোগ পেতেন টাশেরা। অভিযোগ রয়েছে, এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে গোপন নথি সরিয়ে ফেলতেন তিনি। পরে সেসব নথির বিষয়বস্তু চ্যাট গ্রুপে পোস্ট করতেন। আর এভাবেই ইউক্রেন যুদ্ধের কৌশলসহ বিভিন্ন স্পর্শকাতর বিষয়ে মার্কিন গোপন নথি ফাঁস হয়ে যায়।
টুইটার ও টেলিগ্রামে ছড়িয়ে পড়া এসব গোপন নথি অন্তত ছয় সপ্তাহ আগের। তবে সবচেয়ে সাম্প্রতিক নথিগুলোও গত ১ মার্চের।
ছড়িয়ে পড়া নথিগুলোর অন্তত ২০টি পর্যবেক্ষণ করে বিবিসি জানিয়েছে, এতে ইউক্রেনকে সামরিক সরঞ্জাম দেওয়া ও দেশটির সেনাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার বিবরণ রয়েছে। এ ছাড়া রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে এবারের বসন্তে বড় ধরনের পাল্টা হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে ইউক্রেন, এমনটাই বলা রয়েছে ফাঁস হওয়া নথিতে।