মানবপাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে মিল্টনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে: ডিবি প্রধান

0
65
মিন্টো রোডে সংবাদ সম্মেলনে ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর-রশীদ। ছবি: সংগৃহীত
মানবপাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে মিল্টনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে: ডিবি প্রধান
‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে মানবপাচার, অবৈধভাবে মরদেহ দাফন, আয়ের উৎস ও টর্চার সেলসহ ডজনখানেক অভিযোগ রয়েছে। এ সব বিষয় মামলায় রাখা হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। আজ বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি।
এরপর রাত ৮টার দিকে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর-রশীদ।
তিনি বলেন, মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। তাকে রিমান্ডে নিয়ে এসব বিষয়ে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এছাড়া তার স্ত্রীকেও জিজ্ঞাসা করা হবে।
হারুন বলেন, তার বাড়ি বরিশালের উজিরপুরে। বাবাকে পেটানোর কারণে এলাকাবাসী তাকে এলাকা ছাড়া করে। পরে মিল্টন মিঠু হালদার নামের এক নার্সকে বিয়ে করেন। এরপর তিনি চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার প্রতিষ্ঠা করেন। স্ত্রীকে দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি চালানো শুরু করেন। গণমাধ্যমে এসেছে, তার একটি অপারেশন থিয়েটারের তথ্য, যেটার কোনো লাইসেন্স নেই।
ডিবি প্রধান বলেন, তার বিরুদ্ধে রাতে মরদেহ দাফনের অভিযোগ রয়েছে। তিনি ইতোমধ্যে ৯০০ মরদেহ দাফন করেছেন বলে মিডিয়ায় এসেছে। এর মধ্যে ৮৩৫টি মরদেহের কোনো ডকুমেন্ট তিনি দেখাতে পারেননি। ভালো কাজ যতটুকু করেছেন, প্রচার করেছেন তার চেয়েও কয়েক গুণ। মানুষের কিডনিসহ বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কেটে বিক্রির মতো ভয়ংকর অপকর্মের পাশাপাশি রয়েছে বহু অভিযোগ।
প্রসঙ্গত, ঢাকার মিরপুরে ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ নামে একটি আশ্রয়কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন মিল্টন সমাদ্দার। তার ভাষ্য, সেখানে আশ্রয়হীন বৃদ্ধ ও শিশুদের আশ্রয় দেওয়া হয়। সম্প্রতি সাভারে জমি কিনে আশ্রয়কেন্দ্রের স্থায়ী নিবাস বানানো হয়েছে।
মিল্টন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অসহায় বৃদ্ধ ও শিশুদের আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে প্রচার চালান। এ সংক্রান্ত ভিডিও চিত্র দেন। ফেসবুকে তাকে অনুসরণ করেন ১ কোটি ৬০ লাখ মানুষ।
সম্প্রতি মিল্টন সমাদ্দারের বিভিন্ন অপকর্ম নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে নিয়ে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। এরপর মুখ খুলতে থাকেন ভুক্তভোগীরা। মিল্টন ফেসবুকে ভিডিও চিত্র দিয়ে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.