রাজধানী উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনার এক মাস পর দগ্ধ আরেক শিশু মারা গেছে। এ নিয়ে ২৮ শিক্ষার্থী মারা গেল।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) শিশুটি চিকিৎসাধীন ছিল। আজ শনিবার সকাল ৭টা ৫৫ মিনিটে শিশুটি মারা যায়। তার নাম তাসনিয়া হক (১৫)।
তাসনিয়া অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। তার গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলায়। বাবার নাম নাজমুল হক। সে উত্তরার নলভোগ এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকত।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান জানান, তাসনিয়ার শরীরের ৩৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। সেখানকার আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ২১ জুলাই মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসের হায়দার আলী ভবনে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩৬–এ। দগ্ধ অনেকে এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বার্ন ইনস্টিটিউট সূত্র জানায়, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ২০ জন। চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল ছেড়ে বাসায় ফিরেছেন ১৪ জন। দগ্ধ ২০ জনের চিকিৎসা চলছে।
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ সূত্র এর আগে জানায়, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় শিক্ষার্থী-শিক্ষকসহ প্রতিষ্ঠানটির ৩৪ জন মারা গেছেন। তাসনিয়াসহ এ সংখ্যা দাঁড়াল ৩৫–এ।
নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ২৮ জন শিক্ষার্থী, ৩ জন শিক্ষক, ৩ জন অভিভাবক, ১ জন আয়া রয়েছেন। বিমানের পাইলটসহ এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৩৬।