বিজ্ঞানীরা বলছেন, হেলিকপ্টারটির সফটওয়্যার হালনাগাদ করার ফলে এখন মঙ্গলের পাথুরে পৃষ্ঠের ওপর নামার সময় সংঘর্ষ এড়াতে পারবে।
বিজ্ঞানীরা ইনজেনুইটি হেলিকপ্টার নকশার সময় ভেবেছিলেন, এটা মঙ্গলের মাটিতে তাদের প্রযুক্তি পরীক্ষার একটি অংশ। শুরুতে মঙ্গলের মাটিতে পাঁচবার এ হেলিকপ্টার ওড়ানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে পারসেভারেন্স নামের রোবট যানের সঙ্গী হিসেবে ইনজেনুইটিকে মঙ্গলের পাঠানোর পর থেকে এটি চমক দিয়ে যাচ্ছে। পারসেভারেন্সের সঙ্গী হিসেবে আশপাশে উড়ে বিপজ্জনক কিছু আছে কি না, তা পর্যবেক্ষণ করছে এবং ভবিষ্যতে কোনদিকে যাওয়া যাবে তা ঠিক করছে।
নাসা ব্লগে ইনজেনুইটির প্রধান প্রকৌশলী বব বালারাম লিখেছেন, ইনজেনুইটির সাফল্যের ফলে নাসা এ দশকের শেষের দিকে মঙ্গল গ্রহের নমুনা পুনরুদ্ধারে আরও দুটি এ ধরনের হেলিকপ্টার সেখানে পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে। এ দশকের শেষ দিকে মার্স স্যাম্পল রিট্রাইভাল ল্যান্ডার নামের রোবটযান মঙ্গলে পাঠানো হবে। নমুনা উদ্ধারে ব্যবহৃত এ ধরনের হেলিকপ্টারে সাধারণ পায়ের পরিবর্তে থাকবে চাকা। এ ছাড়া এতে থাকবে ছোট বাহু। মঙ্গলগ্রহ থেকে নমুনা সংগ্রহের কাজে এ বাহু ব্যবহার করা হবে। এর বাইরে পাঁচ কেজি নমুনা সংগ্রহ করতে সক্ষম এমন হেলিকপ্টার নিয়েও পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
মঙ্গল গ্রহে বর্তমানে পারসেভারেন্স রোবটটি নমুনা সংগ্রহের কাজ করে যাচ্ছে। ২ ও ৬ ডিসেম্বর মঙ্গলগ্রহের বালিয়াড়ির দুটি নমুনা সংগ্রহ করেছে এ রোবট। এ মাসের শেষ দিকে একটি স্থানে এসব নমুনা রেখে দেবে রোবটটি। ২০৩০ সালের দিকে ভবিষ্যতের মঙ্গল মিশনে এসব নমুনা পৃথিবীতে আনার পরিকল্পনা রয়েছে বিজ্ঞানীদের।