নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহাদাত হোসেনসহ (টেলিফোন) ২ চেয়ারম্যান ও এক ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ভোট বর্জন করেছেন। আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নিচে ভোট ডাকাতি, কেন্দ্র দখল, জাল ভোটসহ এজেন্ট বের করে দেওয়ার অভিযোগ তুলে তারা ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। এ সময় তারা নতুন ভোটের তপশিল ঘোষণার দাবিও জানান।
ভোট বর্জন করা প্রার্থীরা হলেন- সেতুমন্ত্রীর ছোট ভাই শাহাদাত হোসেন (টলিফোন প্রতীক), উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল (দোয়াত কলম) এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা আক্তার।
দুই প্রার্থীর অভিযোগ, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার নেতৃত্বে তার ছেলে ও ভাগনেরা কেন্দ্র দখলে করে ব্যালটে সিল মারছেন।
মেয়র আবদুল কাদের মির্জা সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাই।
শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘মেয়র আবদুল কাদের মির্জার নেতৃত্বে আমার সব এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে আনারস প্রতীকে সিল মারা হচ্ছে। আমার ২০ কর্মীকে মেরে আহত করেছে মেয়রের হাতুড়ি বাহিনী। পুলিশ তাদেরকে অনৈতিকভাবে সহযোগিতা করছে। আমি এ ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী ও নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজানুর রহমান বাদল বলেন, ‘কোনো কেন্দ্রে আমার এজেন্টদের ঢুকতে দেয়নি কাদের মির্জার লোকজন। তারা ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে দিচ্ছে না। এখানে প্রশাসন নিরপেক্ষ নয়। পুলিশ আনারসের পক্ষে সিল মারতে সহযোগিতা করছে। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের এলাকায় এমন ভোট কাম্য নয়। আমরা প্রহসনের এ নির্বাচন বাতিল চাই। বিষয়টি আমরা জেলা প্রশাসককে লিখিতভাবে জানিয়েছি।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে কাদের মির্জার মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘গতকাল সন্ধ্যা থেকে আমার শরীর খারাপ। আমি বাসার অবস্থান করছি। আর শাহাদাত হোসেন আমাদের ভাই বলে পরিচয় দিলেও তিনি আমাদের ভাই নন।’
জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, যে কেউ অভিযোগ দিতেই পারে। নির্বাচনে পরিবেশ যা থাকার তাই আছে। কোনো কেন্দ্রে অনিয়ম হলে তা বন্ধ করে দেওয়া হবে।