ভোট চুরি করলে জনগণ ছেড়ে দেয় না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ভোট চুরি করলে জনগণ জানে সেই সরকারকে কীভাবে উৎখাত করতে হয়।
ভোট চুরির কালচার শুরু করেছে কে- প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ’ ‘না’ ভোটের মাধ্যমে ভোট চুরির কালচার শুরু করেছিলেন জিয়াউর রহমান।
আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে বেলা ১১টা ২০ মিনিটে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সম্মেলন উদ্বোধন করেন।
সম্মেলনের বিশেষ অতিথি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। অনুষ্ঠান পরিচালনা ও সঞ্চালনা করেন ছাত্রলীগের বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। সম্মেলন অনুষ্ঠান সরাসরি প্রচার করে বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ (বিটিভি) বিভিন্ন সম্প্রচার মাধ্যম।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি জিতবে কীভাবে? তারা এক আসনে তিন প্রার্থী দেয়। নির্বাচনে বিএনপির নমিনেশন হচ্ছে ‘ফেল কড়ি মাখো তেল’। আমার কাছে বিএনপির দুইজন নেতা অভিযোগ করে বলেছেন নির্বাচনে নমিনেশনের জন্য তারেক টাকা চেয়েছে। টাকা দিতে না পারলে বাদ। ওই ভাবে নির্বাচনে জেতা যায় না। যে দলের এই অবস্থা তারা গণতন্ত্র উদ্ধার করবে?
কয়েক প্রজন্ম স্বাধীনতার ইতিহাস জানতেই পারেনি মন্তব্য করে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাস করতেন না। তিনি এ দেশে যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। ইতিহাস বিকৃত করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের স্বাধীনতার ভাষণ, জয় বাংলা স্লোগান তিনি নিষিদ্ধ করেছিলেন।