মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস নির্বাচনী প্রচার চালাতে গতকাল শনিবার নর্থ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যে যান।
অঙ্গরাজ্যের শার্লট বিমানবন্দরে কমলার উড়োজাহাজ অবতরণ করে। উড়োজাহাজ থেকে নামতেই এক অস্বাভাবিক দৃশ্য তাঁকে ‘স্বাগত’ জানায়।
কী সেই অস্বাভাবিক দৃশ্য?
কমলার উড়োজাহাজের কাছেই টারমাকে পার্ক করা ছিল আরেকটি উড়োজাহাজ।
এই উড়োজাহাজের রং লাল-সাদা-নীল। উড়োজাহাজটির গায়ে লেখা ‘ট্রাম্প’।
অর্থাৎ, উড়োজাহাজটি কমলার নির্বাচনী প্রতিপক্ষ রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের।
কমলা বর্তমান মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট। তিনি গতকাল নর্থ ক্যারোলাইনায় গিয়েছিলেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের জন্য নির্ধারিত উড়োজাহাজে (এয়ার ফোর্স টু)।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের ছবিতে দেখা যায়, কমলা তাঁর এয়ার ফোর্স টুয়ের সিঁড়ি দিয়ে শার্লট বিমানবন্দরে নামছেন। কাছেই ট্রাম্পের ব্যক্তিগত বোয়িং ৭৫৭ উড়োজাহাজটি (ট্রাম্প ফোর্স ওয়ান) পার্ক করা।
শার্লট বিমানবন্দরে ট্রাম্পের উড়োজাহাজ থাকার অর্থ, তিনিও এখানে নির্বাচনী প্রচারে এসেছেন।
নির্বাচনী প্রচার চালাতে নর্থ ক্যারোলাইনায় গিয়ে ব্যক্তি ট্রাম্পের সঙ্গে কমলার মুখোমুখি সাক্ষাৎ হয়নি। তবে কাকতালীয়ভাবে ট্রাম্পের উড়োজাহাজের দেখা পেয়ে গেলেন কমলা।
এভাবে ‘কাছাকাছি’ আসাটা এই বিষয়ই তুলে ধরে যে উভয় প্রার্থী তাঁদের শেষ মুহূর্তের নির্বাচনী প্রচারে গুটিকয়েক অঙ্গরাজ্যকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছেন। তাঁদের সব মনোযোগ এখন হাতে গোনা কয়েকটি অঙ্গরাজ্য ঘিরে।
এ নিয়ে টানা চার দিন দুই প্রার্থীকে একই দিন একই অঙ্গরাজ্যে নির্বাচনী প্রচার চালাতে দেখা গেল।
আগামী মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এই নির্বাচনে সাতটি অঙ্গরাজ্যকে ‘দোদুল্যমান’ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এসব অঙ্গরাজ্যের নির্বাচনে জয়-পরাজয় ঠিক করে দিতে পারে। এই সাত অঙ্গরাজ্যের মধ্যে নর্থ ক্যারোলাইনাও আছে।
নর্থ ক্যারোলাইনায় মার্কিন রক তারকা বন জভিকে সঙ্গে নিয়ে একটি নির্বাচনী সমাবেশের সূচি নির্ধারিত ছিল কমলার।
অন্যদিকে, কমলার নর্থ ক্যারোলাইনায় আসার কয়েক ঘণ্টা আগে অঙ্গরাজ্যের গ্যাস্টোনিয়ায় নির্বাচনী প্রচার চালান ট্রাম্প।
কমলা যখন বিমানবন্দরে নামেন, তখন ট্রাম্প তাঁর উড়োজাহাজে ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট নয়।
শেষ মুহূর্তের নির্বাচনী প্রচারে বিভিন্ন ইস্যুতে ট্রাম্প ও কমলা পরস্পরকে আক্রমণ করে চলেছেন।
ট্রাম্প বলেছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে লাখ লাখ অভিবাসীকে বিতাড়িত করবেন। আর কমলা যদি জয়ী হন, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি শহর বিপজ্জনক শরণার্থীশিবিরে পরিণত হবে।
কমলা বলেছেন, ট্রাম্প যদি হোয়াইট হাউসে ফিরে আসেন, তাহলে তিনি তাঁর ক্ষমতার অপব্যবহার করবেন। ট্রাম্প অস্থির, প্রতিশোধের নেশায় আচ্ছন্ন ব্যক্তি।
রয়টার্স, শার্লট, নর্থ ক্যারোলাইনা