স্থানান্তর প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ২৩তম ধাপে কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির থেকে আরও ১৫২৭ জন রোহিঙ্গা নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছেছে। একই বহরে ৬৪০ জন পুরাতন রোহিঙ্গাও ছিল।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে নৌবাহিনীর ৪টি জাহাজে করে তাদের ভাসানচরে নিয়ে আসা হয়।
এ নিয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ কেন্দ্রে রোহিঙ্গা নাগরিকের সংখ্যা দাঁড়াল ৩৩ হাজার ৫২৭।
এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার বিকেলের দিকে স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন আশ্রয় শিবির থেকে বাসে করে কক্সবাজারের উখিয়া ডিগ্রি কলেজের মাঠে জড়ো করা হয়। সেখান থেকে রাত ১০টার দিকে তারা চট্টগ্রাম পৌঁছায়।
আরআরআরসি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২২ দফায় কক্সবাজারের বিভিন্ন আশ্রয়শিবির থেকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে ৩২ হাজার রোহিঙ্গাকে। ভাসানচরের আশ্রয়ণ শিবিরে মোট এক লাখ রোহিঙ্গাকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা আছে সরকারের।
ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাওসার আলম ভূঁইয়া জানান, নতুন রোহিঙ্গাদের নৌবাহিনীর পেঙ্গুইন, তিমি, ডলফিন, টুনা জাহাজে নিয়ে আসা হয়। এরপর নৌবাহিনীর পন্টুন-সংলগ্ন হ্যালিপ্যাডে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে গাড়ির মাধ্যমে বিভিন্ন ক্লাস্টারে বসবাসের জন্য হস্তান্তর করা হয়।