ভারতের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের অন্তত ১৫ শহরে হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। গত ৭ থেকে ৮ মে রাতব্যাপী এ হামলা চালানো হয় বলে ভারতের প্রতিরক্ষা দপ্তর জানিয়েছে। একইসঙ্গে তারা দাবি করেছে, এই হামলাগুলো ভারত প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে। খবর দ্য ইকোনমিক টাইমস’র।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, হামলার লক্ষ্যস্থলগুলো হলো-
১. জম্মু কাশ্মীরের শ্রীনগর
২. আওয়ান্তিপুরা
৩. উধমপুর
৪. জম্মু
৫. পাঞ্জাবের পাঠানকোট
৬. অমৃতসর
৭. লুধিয়ানা
৮. জালন্ধর
৯. চণ্ডীগড়
১০. ভাতিন্ডা
১১. গুজরাটের ভুজ
১২. রাজস্থানের ফালোদি
১৩. উত্তারলাই
১৪. নাল
১৫. কাপুরতোলা
ভারতের প্রতিরক্ষা দপ্তর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ইউএএস গ্রিড এবং আকাশ প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ব্যবহার করে এসব হামলা প্রতিহত করা হয়েছে এবং বিভিন্ন স্থান থেকে এর ধ্বংসাবেশষ উদ্ধার করা হয়েছে।
ভারতের দাবি, এই হামলার জবাবে তারা ‘প্রতিশোধমূলক পাল্টা আক্রমণ’ চালিয়েছে। এর আওতায় পাকিস্তানের লাহোরসহ একাধিক শহরের সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। এই আক্রমণে পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, বিশেষ করে রাডার ঘাঁটিগুলোকে ‘হারপি’ ও ‘হারোপ’ ড্রোনের মাধ্যমে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়।
এদিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ভারত ও পাকিস্তানের হামলা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীন ও সৌদি আরব শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য উভয় দেশকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। বিশেষ করে জাতিসংঘের পক্ষ থেকেও দুই দেশকে আলোচনায় বসার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কাশ্মীরের পেহেলগামে দুই সপ্তাহ আগে এক সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হন। ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের একটি সামরিক অভিযান শুরু করে। যার পরিপ্রেক্ষিতে সাম্প্রতিক এই পাল্টাপাল্টি হামলার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।