ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন বাংলাদেশের নব নিযুক্ত হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান। এ সময় ভারতের ‘প্রতিবেশী প্রথম’ যে নীতি রয়েছে, তার বিশেষ স্থানে বাংলাদেশ আছে বলে হাইকমিশনারকে জানিয়েছেন দ্রৌপদী মুর্মু।
আজ সোমবার দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
হাইকমিশনারকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক ভাষা, সংস্কৃতি ও ইতিহাসের বন্ধনে আবদ্ধ উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বলেন, এ বন্ধন ত্যাগের। আগামীতে দুই দেশের আরও শক্তিশালী ও গভীর সম্পর্ক আশা করেন তিনি।
এ সময় মুজিববর্ষ উদযাপন এবং দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছরপূর্তির বিষয় আলোচনায় তুলে ধরেন দ্রৌপদী মুর্মু।
দুই দেশের সম্পর্ক এগিয়ে নিতে রাজনৈতিক সদিচ্ছার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সেপ্টেম্বরে লন্ডনে বৈঠকের বিষয়টিও তুলে ধরেন ভারতের রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়াতে ভারতের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার হচ্ছে বাংলাদেশ। এছাড়া ঢাকায় ভারতের সবচেয়ে বড় ভিসা কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
ভারতের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন নব নিযুক্ত হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সহযোগিতা করার জন্য ভারতের সরকার ও জনগণের কাছে কৃতজ্ঞ বাংলাদেশ। দুই দেশের সম্পর্ক একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে, যা প্রতিবেশী সম্পর্কের মডেল হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে কাজ করা হবে বলে রাষ্ট্রপতিকে জানান তিনি।
মো. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, অভিন্ন স্বার্থে আঞ্চলিক ও উপাঞ্চলিক সহযোগিতা এগিয়ে নিতে ক্রমাগত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেপ্টেম্বরে জি-২০ সম্মেলনে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ভারতকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
ভারতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারের দায়িত্ব গ্রহণের আগে মো. মুস্তাফিজুর রহমান জেনেভায় জাতিসংঘের স্থায়ী প্রতিনিধি এবং সুইজারল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে কর্মরত ছিলেন।