ভারতে পেঁয়াজের দাম দ্রুত বাড়ছে। বাজারে সরবরাহ কমে যাওয়ার কারণে গত দুই সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ। ঈদুল আজহার আগে চাহিদা বেড়ে যাওয়ার মধ্যে দেশটিতে পেঁয়াজের এই মূল্যবৃদ্ধি ঘটল।
ইকোনমিক টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, এ পরিস্থিতিতে ভারতের ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ মজুত করে রাখছেন। তাঁদের প্রত্যাশা, কেন্দ্রীয় সরকার পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য যেসব ব্যবস্থা নিয়েছে, সেগুলো শিথিল করা হবে।
পেঁয়াজের অন্যতম বড় বাজার মহারাষ্ট্র রাজ্যের নাসিকের লাসালগাঁওয়ে গতকাল সোমবার পাইকারি হারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ২৬ রুপিতে। গত ২৫ মে এই পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ১৭ রুপিতে। সবচেয়ে ভালো মানের পেঁয়াজ পাইকারি বাজারে ৩০ রুপি ছাড়িয়ে গেছে, যদিও এই মানের পেঁয়াজ খুব কম পরিমাণে বিক্রি হচ্ছে।
খবরে বলা হয়েছে, চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে সামঞ্জস্য না থাকার কারণেই মূলত পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। জুন মাস থেকে বাজারে যে পেঁয়াজ আসে, তা মূলত কৃষক ও ব্যবসায়ীরা তাঁদের মজুত থেকে সরবরাহ করেন। তবে কৃষকেরা পেঁয়াজ বিক্রি কমিয়ে দিয়েছেন, কারণ তাঁরা মনে করছেন, ২০২৩-২৪ রবি মৌসুমে উৎপাদন কম হবে এবং পেঁয়াজের দাম বাড়বে।
ভারত থেকে এখন খুব বেশি পেঁয়াজ রপ্তানি হচ্ছে না। এর কারণ, রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা আছে। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, পেঁয়াজের চাহিদা বাড়ার কারণ আগামী ১৭ জুন যে ঈদুল আজহা উৎসব পালিত হবে, সেটি। নাসিকের ব্যবসায়ী বিকাশ সিং বলেন, মহারাষ্ট্রের পেঁয়াজের অনেক চাহিদা রয়েছে, বিশেষ করে দক্ষিণের রাজ্যগুলো থেকে।
ভারতের হর্টিকালচার প্রডিউস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অজিত শাহ বলেন, ‘পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ার একটি কারণ হলো, কৃষক ও মজুতকারীরা আশা করছেন, সরকার সম্ভবত রপ্তানি শুল্ক প্রত্যাহার করবে। এ ধারণার ওপর ভিত্তি করে তাঁরা পেঁয়াজ মজুত করছেন এবং আশা করছেন যে দাম আরও বাড়বে।’