ভারতে চলন্ত ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের গুজব, নিহত ১২

0
9
ভারতে চলন্ত ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের গুজব, অন্য একটি ট্রেনে ধাক্কা লেগে ১২ জনের মৃত্যু
ভারতে চলন্ত ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের গুজব ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কিত হয়ে যাত্রীরা লাফিয়ে পড়তে থাকে। কিন্তু তাদের শেষ রক্ষা হয়নি। পাশ দিয়ে অন্য একটি ট্রেনে ধাক্কা লেগে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
 
মহারাষ্ট্র রাজ্যের জলগাঁওয়ে শহরে বুধবার (২২ জানুয়ারি) এ দুর্ঘটনা ঘটে। জলগাঁওয়ের পুলিশ সুপার মহেশ্বর রেড্ডি মৃত্যুর সংখ্যা নিশ্চিত করেছেন। সূত্র: এনডিটিভি
 
কেন্দ্রীয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাটি মুম্বাই থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে মেহেজি ও পারধাদে স্টেশনের মধ্যবর্তী এলাকায় ঘটে।
 
স্থানীয় সময় বিকেল ৫টার দিকে লখনউ-মুম্বাই পুষ্পক এক্সপ্রেসের এক কোচে আগুনের গুজব ছড়ালে যাত্রীরা ট্রেনের চেন টেনে সেটি থামায়। ট্রেন থেকে নামার পর কিছু যাত্রী পাশের লাইনে আসা কর্ণাটক এক্সপ্রেস ট্রেনে ধাক্কা খায়। কর্ণাটক এক্সপ্রেস বেঙ্গালুরু থেকে দিল্লির দিকে যাচ্ছিল বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের প্রধান মুখপাত্র স্বপ্নীল নিলা।
 
এ ছাড়া কেন্দ্রীয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পিটিআইকে জানান, তাদের কাছে থাকা প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, পুষ্পক এক্সপ্রেসের এক কোচে ‘হট অ্যাক্সেল’ বা ‘ব্রেক জ্যামের’ কারণে স্ফুলিঙ্গ হতে থাকে। এতে যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে চেইন টেনে ট্রেন থামায় এবং কয়েকজন ট্রেন থেকে লাফিয়ে পড়ে।
 
দুর্ঘটনাস্থলে ভুসাওয়াল থেকে একটি দুর্ঘটনা ত্রাণ ট্রেন পাঠানো হয়েছে। আহতদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। দুর্ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া হৃদয়বিদারক ছবিতে দেখা যায়, রেললাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে মরদেহ পড়ে আছে এবং কিছু মানুষ রক্তাক্ত অবস্থায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।
 
এদিকে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ শোক প্রকাশ করে জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে দ্রুত সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। তিনি এক্সে পোস্ট করে বলেন, ‘জলগাঁও জেলার পাচোরার কাছে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির খবর অত্যন্ত দুঃখজনক। নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.