টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকেই কোচ হাথুরুসিংহেকে বাদ দেওয়ার জন্য আওয়াজ তুলেছে দেশের ক্রিকেটভক্তরা। নতুন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদও এই লঙ্কান কোচকে নিয়ে অনেকবার নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। তবে সদ্য শেষ হওয়া পাকিস্তান সিরিজে তার অধীনেই সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে ট্রফি নিয়ে দেশে ফিরেছে শান্ত বাহিনী।
কয়েক দিন আগে এক সংবাদ সম্মেলনে ফারুক আহমেদ বলেছিলেন, হাথুরুর বিকল্প খুঁজতে শুরু করেছেন তিনি। এ কথা শুনে অনেকেই ভেবেছিল পাকিস্তান সিরিজ দিয়ে হয়তো বাংলাদেশ ক্রিকেটের হাথুরুসিংহে অধ্যায় শেষ হতে চলেছে। কিন্তু পাকিস্তানের বিপক্ষে লাল বলের সাফল্য সব পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়েছে। আসন্ন ভারত সিরিজেও টাইগারদের দায়িত্বে থাকবেন হাথুরুসিংহে।
বিসিবির একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। যে কারণে পাকিস্তান থেকে ছুটিতে যাওয়ার কথা থাকলেও, নাজমুল হোসেন শান্তদের সঙ্গে বুধবার রাতেই ঢাকায় ফিরে এসেছেন হাথুরু। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর তার নেতৃত্বেই ভারতের বিমানে উঠবে শান্ত বাহিনী।
এর আগে, রাওয়ালপিন্ডিতে এক সংবাদ সম্মেলনে হাথুরুসিংহে জানিয়েছিলেন, তার কোচ থাকা না থাকা নিয়ে তিনি বিসিবির শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে আগ্রহী। সেটা তিনি বাংলাদেশে এসেই আলাপ আলোচনা করতে চান।
পাকিস্তানের বিপক্ষে অবিস্মরণীয় সাফল্যর পর পরই ভারতের সঙ্গে টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজ। মাত্র ২ সপ্তাহেরও কম সময়ের ব্যবধানে হেড কোচকে বরখাস্ত করলেও নতুন কোচের দেখা মিলবে না, যা অনেকটাই অসম্ভব।
হাথুরুসিংহের কোচিংয়ে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে পাকিস্তানকে ১০ ও ৬ উইকেটে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ। যেখানে আগে কখনও পাকিস্তানকে হারানোর রেকর্ড ছিল না, সেখানে এবার পাকিস্তানিদের ২ ম্যাচের সিরিজে ‘ধবলধোলাই’ করে টাইগাররা নিজেদের সাফল্যকে ছাড়িয়ে গেছে।
তাই এই পরিস্থিতিতে এই কোচ বাদ দেওয়াটা ভালো দেখাবে না বলে মনে করছে বিসিবি। কিন্তু বিষয়টিকে মাথা থেকে পুরোপুরি বাদ দেননি বিসিবি সভাপতি। ভারত সফরের পর অবস্থা বুঝে এবং কোনো ভালো মানের হেড কোচ পাওয়া সাপেক্ষে হয়তো পরবর্তীতে হাথুরুকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেবেন বিসিবি সভাপতি।