ভাগ্যশ্রী ক্যারিয়ারের প্রথম ছবিতেই বাজিমাত করেছিলেন। ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’ ছবিতে তাঁর ও সালমান খানের জুটি আজও আছে সবার হৃদয়জুড়ে। ভাগ্যশ্রীর কন্যা অবন্তিকা দসানি ইতিমধ্যে অভিনয়জগতে পা রেখেছেন। তবে এখনো বলার মতো কোনো সাফল্য পাননি এই নবাগত নায়িকা। তবে পুরোপুরি প্রস্তুতি নিয়েই অভিনয়জগতে পা রেখেছেন অবন্তিকা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের অভিনয়জীবন ঘিরে নানা কথা ফাঁস করেছেন তিনি।
ওয়েব সিরিজ ‘মিথ্যা’ দিয়ে অবন্তিকার পথচলা শুরু। বড় পর্দায় অভিষেক হয়েছে দক্ষিণি ছবি ‘নেনু স্টুডেন্ট স্যার’ দিয়ে। দক্ষিণের পর এবার হিন্দি সিনেমায় দেখা যাবে অবন্তিকাকে। ছবির নাম ‘ইউ শেপ কি গলি’। ‘মিথ্যা’ সিরিজে তাঁকে ধূসর চরিত্রে দেখা গেছে। অবন্তিকা জানিয়েছেন, ‘ইউ শেপ কি গলি’তে সম্পূর্ণ অন্য ধারার চরিত্রে তিনি আসতে চলেছেন।
এই ছবিতে নিজের অভিনীত চরিত্রের প্রসঙ্গে ভারতের দৈনিক ভাস্কর পত্রিকাকে এক
সাক্ষাৎকারে অবন্তিকা জানিয়েছেন, ‘এটা রোমান্টিক মিউজিক্যাল ও সোশাল ড্রামাধর্মী ছবি। আমার চরিত্রের নাম শবনম, সবাই তাকে আদর করে শাব্বো বলে ডাকে। চরিত্রটা দারুণ মজার লেগেছিল। “মিথ্যা”র চেয়ে সম্পূর্ণ অন্য এক চরিত্রে আসতে চলেছি আমি। চরিত্রটা মানসিকভাবে খুবই শক্তিশালী। এটা আমার প্রথম বলিউড ছবি। তাই আমি অধীর অপেক্ষায় আছি যে ছবিটি কবে মুক্তি পাবে।’
পড়াশোনায় ভালো ছিলেন অবন্তিকা। অভিনয়ে আসার কোনো পরিকল্পনা ছিল না তাঁর।
এই তরুণ অভিনেত্রী বলেন, ‘দু-একটা অভিনয়ের কোর্স করার পর আমি উপলব্ধি করি, এই পেশার প্রতি আমার ভালোবাসা আছে। অভিনয়জগতে নামার আগে আমি নাচ, কণ্ঠ প্রশিক্ষণ, বক্সিং, মার্শাল আর্টের প্রশিক্ষণ নিয়েছি। নাটক করতাম। নাটকের বিভিন্ন কর্মশালায় অংশগ্রহণ করতাম। এ ছাড়া অভিনয়ের বেশ কয়েকটা কোর্সও করেছিলাম। কিন্তু ছবির সেটে যে শিক্ষা পাওয়া যায়, তা অন্য কোথাও পাওয়া যায় না।’ তবে মা–বাবা চাইতেন না, তিনি অভিনয়জগতে আসুন। এ প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, ‘অভিভাবকেরা বলতেন, “জীবনে কিছু করো বা না করো, কিন্তু অভিনয় কোরো না।” তাঁরা দেখেছেন যে এই পেশা ও ইন্ডাস্ট্রি চড়াই-উতরাইতে ভরা। আজ ভালো তো, কাল খারাপ। আর আমি খুবই আবেগপ্রবণ। তাই এই ইন্ডাস্ট্রিতে আমার টিকে থাকা নিয়ে মা আরও বেশি চিন্তিত ছিলেন।’