সশস্ত্র বিদ্রোহের ঘটনায় বেসরকারি সামরিক বাহিনী ভাগনার গ্রুপ ও এর প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিনের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই রাশিয়ার। প্রিগোজিনের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত ওই ভাড়াটে বাহিনীর সশস্ত্র বিদ্রোহের ঘটনায় অভিযোগ প্রত্যাহার করে তদন্ত বন্ধ করেছে রাশিয়ান কর্তৃপক্ষ।
ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস (এফএসবি) বলেছে, বিদ্রোহের ঘটনায় সম্পৃক্তরা ‘অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দিয়েছিল’।
এর আগে শনিবার রাশিয়ার ভাড়াটে যোদ্ধা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ভাগনার বিদ্রোহ ঘোষণা করে। দলবল নিয়ে ভাগনারের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন মস্কোর দিকে এগুতে থাকেন। গোটা মস্কো অঞ্চলে ‘সন্ত্রাস-বিরোধী’ বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়।
পরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় মস্কো অভিমুখে যাত্রা স্থগিত করেন ইয়েভগেনি প্রিগোজিন। সে সময় ‘রক্তপাত এড়াতে’ প্রিগোজিন ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে সব অভিযোগ প্রত্যাহার করা হবে বলে জানিয়েছিল রাশিয়ান কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আগ্রাসন চালায় রাশিয়া। তখন থেকে দেশটিতে রুশ বাহিনীর সহযোগী হিসেবে ইউক্রেনীয়দের বিরুদ্ধে লড়ছে ভাগনার গ্রুপ। এটি একটি বেসরকারি ভাড়াটে বাহিনী। ক্রেমলিনের সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতায় এটি গড়ে তুলেছেন ইয়েভগেনি প্রিগোজিন। গ্রুপটির সদস্যের সংখ্যা প্রায় ২৫ হাজার। এদের অনেকেই রুশ নিরাপত্তা বাহিনীর সাবেক সদস্য।