ভাগনার বাহিনীর উপস্থিতি নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তায় বেলারুশ

0
187
ভাগনার সেনাদের সঙ্গে রাশিয়ার ভাড়াটে এই বাহিনীর প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিন, ছবি: এএফপি ফাইল ছবি

বেলারুশে নবনির্মিত একটি আশ্রয়শিবির ঘুরে দেখা গেল, সেখানকার তাঁবুগুলো সব ফাঁকা। একটিতে শুধু কয়েকজন নিরাপত্তাপ্রহরীকে বিশ্রাম নিতে দেখা গেছে। গুঞ্জন আছে, বেলারুশে নবনির্মিত ক্যাম্পটিতে রাশিয়ার ভাড়াটে যোদ্ধা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ভাগনারের যোদ্ধাদের রাখা হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ভাগনার সদস্যদের কোনো আনাগোনা সেখানে নেই।

সাম্প্রতিক বিদ্রোহের পর বেলারুশের নেতা আলেকসান্দার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় ক্রেমলিনের সঙ্গে ভাগনার প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিনের সমঝোতা হয়। প্রিগোশিন বিদ্রোহ বন্ধের ঘোষণা দেন। বাহিনীর কিছুসংখ্যক সদস্যকে নিয়ে তাঁর বেলারুশে যাওয়ার কথা ছিল। তবে গত বৃহস্পতিবার লুকাশেঙ্কো ওই চুক্তি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, প্রিগোশিন কিংবা তাঁর বাহিনীর যোদ্ধাদের কেউ বেলারুশে নেই।

বেলারুশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লিওনিড কাসিনস্কি বলেন, এখানে তাঁদের খুঁজে পাওয়া যাবে না।

শিবিরটিতে আছে ৩০০ তাঁবু। সেখানে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের থাকার ব্যবস্থা আছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গেছে, ভাগনার যোদ্ধারা যখন রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করছিলেন, ঠিক সে সময় ওই শিবিরের নির্মাণকাজ চলছিল। ছবিগুলো প্রকাশ হওয়ার পর গুঞ্জন ওঠে, ওই শিবিরে ভাগনার যোদ্ধাদের রাখা হবে। যদিও কাসিনস্কি বলেছেন, শরতে মহড়া চালানোর জন্য তাঁবুগুলো তৈরি করা হয়েছে।

বেলারুশে ভাগনারের জন্য নতুন শিবির নির্মাণের খবরটি লুকাশেঙ্কোও অস্বীকার করেছেন। তবে বেলারুশের এ প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ভাগনারকে তিনি কিছু সাবেক সেনা ঘাঁটিতে জায়গা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন।

এদিকে বেলারুশে ভাগনারের সদস্যদের যাওয়া নিয়ে দেশটির স্থানীয় মানুষদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। এক নারী বলেন, ‘আমি ভীত, আমি শান্তি চাই। আমি চাই, আমার সন্তানেরা এখানে বেড়ে উঠুক। এতটুকুই আমি বলব।’ ওই নারী তাঁর নাম প্রকাশ করেননি।

আবার অনেক বাসিন্দা বলছেন, তাঁরা এ নিয়ে উদ্বিগ্ন নন।

৪৫ বছর বয়সী কিন্ডারগার্টেন কর্মী ইয়েলেনা ভিংলিনস্কায়া বলেন, ‘আমি কোনো ধরনের উদ্বেগ বোধ করছি না। এটা করার প্রয়োজন হলে করা উচিত।’

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.