ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার পক্ষে কাজ করে আসা বেসরকারি সামরিক বাহিনী ভাগনার গ্রুপ খোদ রাশিয়ার বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহ করতে পারে, এমন আশঙ্কায় কিছু কিছু জায়গায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে রুশ প্রশাসন। খবর: বিবিসি’র।
সামরিক কোম্পানি ভাগনার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ইয়েভগেনি প্রিগোজিন গতকাল শুক্রবার অভিযোগ তুলে বলেন, সম্প্রতি তাদের একটি ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী ‘বিপুল সংখ্যক সদস্যকে’ হত্যা করেছে। একই সঙ্গে নিজের কোম্পানির সেনাদের হত্যার বদলা নেওয়ারও ঘোষণা দেন ভাগনার প্রধান।
ইয়েভগেনি প্রিগোজিন বলেন, ‘রুশ সেনাদের হাজার হাজার সদস্যকে শাস্তি দেওয়া হবে। আমি বলব, কেউ যেন জবাব দিতে পিছপা না হয়।’
পরে টেলিগ্রাম পোস্টে ভাগনার প্রধান বলেন, রুশ সামরিক নেতৃত্বের সমালোচনা আকারে তিনি যা করেছেন সেটি ‘ন্যায়বিচার পাওয়ার প্রচেষ্টামাত্র’ এবং এটি সামরিক অভ্যুত্থান নয়। রুশ সামরিক বাহিনীর নেতৃত্বে ‘দুষ্টের’ দমন জরুরি।’
ভাগনার প্রধানের এমন বক্তব্যের পর রাশিয়ার ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস (এফএসবি) তার বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহের অভিযোগ দিয়ে ফৌজদারি মামলার উদ্যোগ নেয়। এ মামলায় তদন্তও শুরু হয়েছে। রুশ রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা তাস এ তথ্য জানায়।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এ বিষয়ে সার্বক্ষণিক খোঁজ রাখছেন বলে জানিয়েছে ক্রেমলিন।
জ্যেষ্ঠ রুশ জেনারেলরা ভাগনার যোদ্ধাদের অপসারণের আহ্বান জানিয়েছেন। জেনারেলদের দাবি, ভাগনার সদস্যরা ‘শত্রুর হাতের খেলোয়াড়’ হিসেবে কাজ করছেন।
ইউক্রেনে যুদ্ধ ভাগনারের সদস্যরা প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য রাশিয়ার সীমান্ত অতিক্রম করেছে। নিজের সদস্যদের রুশ সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার কথা জানিয়েছেন ভাগনার প্রধান।
ফলে রুশ প্রশাসন সংশ্লিষ্ট এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে। রোস্তভ শহরে ট্যাংক মোতায়েন করা হয়েছে এবং সেখানকার গভর্নর ভ্যাসিলি গোলুবেভ লোকজনকে ঘর থেকে বের না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
একইসঙ্গে ভাগনার ক্যাম্পে হামলা করা হয়নি বলে দাবি করেছে রুশ সরকার। ভাগনার প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনকে ‘বেআইনি কিছু’ না করারও আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া।