এ ঘটনায় সদর উপজেলার ঘাটিয়ারা গ্রামের মো. রায়হান (৩০) ও বিজয়নগর উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের মো. জাক্কুর (৪৮) নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও পাঁচ থেকে সাতজনকে আসামি করে মামলা করেছেন আহত বক্তার চাচা মাওলানা আবদুল বাছির ভূঁইয়া। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, যুবসেনা ও ছাত্রসেনা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার ব্যানারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রেসক্লাবের সামনে চার সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ করেন। বেলা ১১টার দিকে সেখানে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে ইসলামি বক্তা মুফতি গিয়াস উদ্দিন আত তাহেরী বলেন, জিব ও গলা কাটলেও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের বয়ান বন্ধ হবে না। ইসলাম ও আহলে সুন্নাতের মৌলিক আদর্শ লালন ও প্রচার করায় পরিকল্পিতভাবে শরীফুলের ওপর হামলা করা হয়েছে। এ ঘটনার দ্রুত তদন্ত করে অপরাধীদের পরিচয় জাতির সামনে তুলে ধরার দাবি জানান তিনি। অন্যথায় হামলার প্রতিবাদ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে বলে তিনি হুঁশিয়ার করেন।
মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ মহিউদ্দিন মোল্লা, উপদেষ্টা আবুল কালাম আজাদ, সহসাধারণ সম্পাদক জাকের আল মানসুর, সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের সভাপতি মাওলানা জসিম উদ্দিন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন। সঞ্চালনা করেন যুবসেনার কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম।
আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. হিমেল খান বলেন, আঘাতে ওই ব্যক্তির জিবের সামনের অংশ সামান্য কেটেছে। তবে বিচ্ছিন্ন হয়নি। পায়ে আঘাত ছিল, সেখানে সেলাই দেওয়া হয়। জিবের আঘাতের জন্য তাঁকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম বলেন, হামলায় জিব কেটেছে সত্য। তবে যেভাবে বলা হচ্ছে জিব টেনে কেটে ফেলা হয়েছে, ঘটনা তেমন নয়। গাড়িতে যাওয়ার সময় বাঁশ দিয়ে আঘাত করা হয়। আঘাত চোয়াল ও ঠোঁটে লাগে। বাঁশের কারণে নাকি দাঁতের কারণে জিব কেটেছে, সেটি নিশ্চিত নন। এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। আরেকজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এখনো তাঁকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি।