নতুন মুদ্রানীতিতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বিদ্যমান অর্থনৈতিক চাহিদা, আমদানি কার্যক্রমে নজরদারি অব্যাহত রাখা ও স্থিতিশীল বাণিজ্য পরিবেশ নিশ্চিতকরণে জোর দেওয়া হয়েছে।
রেপো ও রিভার্স রেপোর হার যথাক্রমে ৬.৫ ও ৪.৫ শতাংশ বৃদ্ধির মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যদিও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রেপো ও রিভার্স রেপো রেটের কার্যকারিতা নিয়ে আমরা এখনো নিশ্চিত নই। কারণ, এর আগেও এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, যা থেকে কাঙ্ক্ষিত সফলতা আসেনি।
ঘোষিত মুদ্রানীতিতে ঋণের সুদের হারের সীমা ৯ শতাংশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর ফলে ব্যাংকঋণের সুদের হার দুই অঙ্কে উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা বিশ্বের বর্তমান অর্থনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে ব্যবসায়ীদের ব্যবসা পরিচালনায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে।
পাশাপাশি এ ধরনের উদ্যোগ, বিশেষ করে কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের ব্যবসা পরিচালনার ব্যয় বাড়বে।
আগামী ২০২৩–২৪ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাস জুলাই-ডিসেম্বরে সরকারি খাতে ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৩ শতাংশ, যেটি চলতি ২০২২–২৩ অর্থবছরের জানুয়ারি-জুনে ৪০ শতাংশে রয়েছে। অন্যদিকে আগামী ছয় মাসে বেসরকারি খাতে ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১০ দশমিক ৯ শতাংশ, যেটি জানুয়ারি-জুন সময়ে রয়েছে ১১ শতাংশ।
সরকারি খাতে অধিক মাত্রায় ঋণ গ্রহণ বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহকে সংকুচিত করবে। সরকারি খাতের ঋণপ্রবাহ হ্রাসের জন্য সরকারি ব্যয় কৃচ্ছ্রসাধন, সুশাসন, স্বচ্ছতা ও দক্ষতা আনয়ন এবং অগ্রাধিকারমূলক উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে।
সমন্বিত মুদ্রা বিনিময় হার দেশের মুদ্রাবাজারকে স্থিতিশীল করবে। আর্থিক খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতের মাধ্যমে খেলাপি ঋণ হ্রাস করা সম্ভব।