বৃষ্টি নিয়ে যা জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর

0
36
রাজধানীর মগবাজার এলাকায় রাস্তায় এমন পানি জমেছে বৃষ্টিতে।

মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবারের তুলনায় গতকাল শুক্রবার বৃষ্টি বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। আজ শনিবার ও আগামীকাল রোববার বৃষ্টি কমে আসতে পারে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেন, আজ শনিবার বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমতে পারে। রোববারও এ অবস্থা বিরাজ করতে পারে। দুই দিন বিরতি দিয়ে আবারও অঝোর ধারায় বৃষ্টি শুরু হতে পারে। এরপর ধীরে ধীরে বৃষ্টি কমবে।

তবে উপকূলজুড়ে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে, যা টানা কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে, যোগ করেন তিনি।

গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।

চলতি মাসের জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এই মাসে বঙ্গোপসাগরে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে একটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এ কারণে ওই সময়গুলোয় বৃষ্টি বেড়ে যেতে পারে। উত্তর মধ্যাঞ্চলে দু-তিন দিন ও সারা দেশে তিন-চার দিন বজ্রসহ ঝড় হতে পারে। এই মাসে রাতের তাপমাত্রা ১–২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি থাকতে পারে। আর বিক্ষিপ্তভাবে দেশের কয়েকটি স্থানে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপটি ভারতের বিহার ভূখণ্ডে উঠে গেছে। এ কারণে বৃষ্টি বেড়ে গেছে। আগামী দু-তিন দিন বৃষ্টি কমে গিয়ে আবারও বাড়তে পারে।

এদিকে গতকাল চট্টগ্রাম বিভাগের নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুরে দেশের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। ফেনীতে দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে ২৮৮ মিলিমিটার। রাজধানীতে সারা দিনে ৪৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। দেশের উপকূলের বেশির ভাগ জেলায় ১০০ থেকে ২৫০ মিলিমিটারের মধ্যে বৃষ্টি হয়েছে। রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে বৃষ্টি কিছুটা কম হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, শক্তিশালী মৌসুমি বায়ুর কারণে বঙ্গোপসাগরে সঞ্চারণশীল মেঘমালা সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, পায়রা ও মোংলা বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। দেশের উপকূল থেকে শুরু করে মধ্যাঞ্চল হয়ে উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলজুড়ে সঞ্চারণশীল মেঘ ও ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এ কারণে দেশের বেশির ভাগ নদীবন্দরকে ২ নম্বর স্থানীয় নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, মৌসুমী বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।

আজ সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। গতকাল শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ৩৪ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন নোয়াখালীর মাইজদীকোর্ট ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ঢাকায় আজ সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৬টা ৪১ মিনিটে। শনিবার ঢাকায় সূর্যোদয় ভোর ৫টা ২৮ মিনিটে। আজ দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া প্রবাহিত হতে পারে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.