বুক-পেট জোড়া লাগা যমজ দুই কন্যাশিশুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর থেকে ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্যোগে ও সরকারি ব্যয়ে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অ্যাম্বুলেন্সে করে তাদের ঢাকায় পাঠানো হবে।
জোড়া লাগা যমজ শিশুর মা লাবনী আক্তার বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। স্বামী রাজমিস্ত্রির কাজ করে। দুই সন্তানের অপারেশনের খরচ চালানোর মতো আমাদের সামর্থ্য নেই। ঢাকাতেও রংপুরের মতো সরকারি খরচে যেন চিকিৎসা করা হয়, এ জন্য সবার কাছে আবেদন জানাই।’
আজ বৃহস্পতিবার রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ইউনুছ আলী বলেন, বুক-পেট জোড়া লাগা দুই নবজাতকের উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। এ জন্য হাসপাতালের সমাজসেবা রোগী কল্যাণসেবা বিভাগের পক্ষ থেকে রংপুর থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানোর ব্যবস্থার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ঢাকায় যাওয়ার পথে যাবতীয় খরচও বহন করা হবে।
৭ অক্টোবর দুপুরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে জোড়া লাগা দুই যমজ কন্যাশিশু জন্ম দেন গৃহবধূ লাবনী আক্তার। তিনি লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের সাতপাটকি গ্রামের রাজমিস্ত্রি আরিফুল ইসলামের স্ত্রী। তাঁদের পাঁচ বছর বয়সী এক ছেলেসন্তান আছে।
গৃহবধূ লাবনীর শ্বশুর সেকেন্দার আলী বলেন, প্রায় ছয় বছর আগে তাঁর ছেলে রাজমিস্ত্রি আরিফুলের সঙ্গে লাবনীর বিয়ে হয়। জোড়া লাগা যমজ সন্তানের ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসা করার মতো সামর্থ্য তাঁদের নেই। শেষ পর্যন্ত হাসপাতালের উদ্যোগে ঢাকায় নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঢাকায় গিয়েও যেন হাসপাতালের সহযোগিতা পান, সেই দাবি জানান তিনি।
হাসপাতাল ও স্বজন সূত্রে জানা যায়, আলট্রাসনোগ্রামের মাধ্যমে যমজ দুই শিশুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর ২ অক্টোবর লাবনী আক্তারকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর ৭ অক্টোবর দুপুরে গাইনি বিভাগের চিকিৎসক সারমিন সুলতানা অস্ত্রোপচার করেন। এতে বুক ও পেট জোড়া লাগা যমজ দুই কন্যাশিশুর জন্ম হয়।