বীর মুক্তিযোদ্ধার কোমরে দড়ি বেঁধে আদালতে নেওয়ার ছবি ভাইরাল

0
217
কোমরে দড়ি বাঁধা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু ছালেক রিকাবদার। ছবি- সংগৃহীত

বিএনপি নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু ছালেক রিকাবদারের (৭০) কোমরে দড়ি বেঁধে আদালতে নেওয়ার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

গত শনিবার বিকেলে কোমরে দড়ি ও হ্যান্ডকাফ বেঁধে তাকে শিবপুর থানা থেকে পাঠানোর পর নরসিংদী জেলা আদালতে তোলা হয়। এদিকে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার কোমরে দড়িবাঁধা ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ায় বিষয়টি নিয়ে জেলাজুড়ে সমালোচনা চলছে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু ছালেক রিকাবদার (৭০) শিবপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক।

এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের স্থানীয় সংসদ সদস্য জহিরুল হক ভূঁইয়া দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এ ছাড়া বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

গত শুক্রবার রাতে বিনা পরোয়ানায় নিজ বাড়ির সামনে থেকে আবু ছালেককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর পরদিন বিকেলে থানা-পুলিশ তাকে গত বছরের নভেম্বর মাসের একটি রাজনৈতিক মামলায় নরসিংদীর আদালতে পাঠায়। এ সময় তিনি আরও কয়েকজনের সঙ্গে তার কোমরে দড়িবাঁধা ও হ্যান্ডকাফ পরিহিত অবস্থায় ছিলেন। ওই দিন আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

সংসদ সদস্য জহিরুল বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু ছালেককে থানায় আটক করে নেওয়ার পর খবর পেয়ে আমি ওসিকে কল দিয়ে অনুরোধ করেছিলাম, তাকে যেন অসম্মান বা হয়রানি না করা হয়। পরদিন কোমরে দড়ি বেঁধে তাকে থানা থেকে আদালতে পাঠানোর ছবি দেখে খুবই কষ্ট পেয়েছি।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির বলেন, গত শনিবার সারা দেশে বিএনপি ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করে। ওই কর্মসূচি শিবপুরে যাতে সফল না হয়, সেজন্য উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু ছালেক রিকাবদারকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। যে মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে, ওই মামলায় আমিসহ আরও ১৮ জন আসামি।

এ ঘটনায় শিবপুরের মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার আবদুল মান্নান খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহসীন নাজির, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুনুর রশীদ খান, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জল হোসেন মাস্টার প্রমুখ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদার বলেন, আবু ছালেক রিকাবদারকে কোমরে রশি দিয়ে বাঁধার বিষয়টি তার জানা ছিল না। যারা থানা থেকে আদালতে নিয়ে গেছেন, তারা এ বিষয়ে ভালো বলতে পারবেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.