বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) থেকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ঋণ নিলে এবং প্লট বরাদ্দ নিয়ে তা বিক্রি বা ভাড়া দিলে শাস্তির বিধান রেখে জাতীয় সংসদে বিল পাস হয়েছে।
সোমবার শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন ‘বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন বিল’ পাসের জন্য সংসদে তোলেন। বিলের ওপর দেওয়া জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি শেষে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়। ১৯৫৭ সালের বাংলাদেশ স্মল অ্যান্ড কটেজ ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন অ্যাক্ট রহিত করে এ আইন করা হচ্ছে।
বিলে বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি করপোরেশন থেকে ঋণ বা অন্য কোনো সুবিধা পাওয়ার উদ্দেশে ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা তথ্য দেন বা জ্ঞাতসারে মিথ্যা বিবরণী ব্যবহার করেন বা করপোরেশনকে কোনো প্রকারে মিথ্যা প্রতিবেদন গ্রহণ করতে প্ররোচনা দেন, তা হলে এর শাস্তি হবে সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড।
কোনো ব্যক্তি করপোরেশনের কাছ থেকে শিল্পপার্ক বা শিল্পনগরীতে কোনো প্লট বরাদ্দ পেয়ে যদি ওই প্লট বা তার অংশবিশেষ অবৈধভাবে হস্তান্তর বা ভাড়া দেয় বা শিল্পকারখানা ছাড়া অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করেন, তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এর দণ্ড সর্বোচ্চ ১ বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড।
বিলে বলা হয়েছে, করপোরেশন শিল্প ক্ষেত্রে নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও তাদের সুরক্ষা দেওয়ার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে। বিলে অতিক্ষুদ্র শিল্প, কুটির শিল্প, ক্ষুদ্র শিল্প, মাঝারি শিল্প, শিল্পপার্ক বা শিল্পনগরী এবং হস্ত ও কারুশিল্পের সংজ্ঞা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
পারিবারিক আদালত বিল পাস
সোমবার জাতীয় সংসদে পারিবারিক আদালত বিল ২০২৩ পাস হয়েছে। ফ্যামিলি কোর্টস অর্ডিন্যান্স, ১৯৮৫ বাতিল করে বাংলায় নতুন আইনটি করা হচ্ছে। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিলটি পাসের জন্য সংসদে তোলেন। বিলের ওপর আনা জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি শেষে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়। বিলে পারিবারিক আদালতের মামলার কোর্ট ফি ৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০০ টাকা করা হয়েছে।