সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সুন্দরবন দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের পর গঙ্গা বিলাসের পর্যটকদের খুলনার কয়রা উপজেলার আংটিহারায় অনবোর্ড ইমিগ্রেশন করা হয়। কলকাতার গঙ্গাবক্ষ থেকে নদীয়া দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করা জাহাজটির চূড়ান্ত গন্তব্য আসামের ডিব্রুগড়।
ভারতের উত্তর প্রদেশের বারাণসী থেকে বাংলাদেশ হয়ে আসাম পর্যন্ত নদীপথে মোট ৩ হাজার ২০০ কিলোমিটার পাড়ি দেবে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘযাত্রার প্রমোদতরি গঙ্গা বিলাস। এ যাত্রাপথে সময় লাগবে ৫১ দিন।
তিনটি ডেকসহ এমভি গঙ্গা বিলাস দৈর্ঘ্যে ৬২ মিটার লম্বা ও প্রস্থে ১২ মিটার। এর ২৮টি বিলাসবহুল কামরায় সুইজারল্যান্ডের ২৭ জন ও জার্মানির ১ জন ভ্রমণ করছেন।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপসচিব (বোর্ড ও গণসংযোগ) মো. মাকরুজ্জামান বলেন, ভারতীয় প্রমোদতরিটি শনিবার দুপুর নাগাদ বন্দর জেটিতে ভিড়বে। এ বিষয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষ সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
যে পথে বাংলাদেশ পাড়ি দেবে গঙ্গা বিলাস
বাংলাদেশে প্রবেশের পর সুন্দরবন এলাকা ঘুরে এ জাহাজের বিদেশি পর্যটকেরা মোংলা বন্দর ঘুরে যাবেন বাগেরহাটের ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মসজিদে। এরপর বরিশাল ঘুরে চলে যাবেন মেঘনা ঘাটে। মেঘনা ঘাটে নোঙর করার পর দুই দিন সোনারগাঁও ও ঢাকায় ঘুরে দেখবেন তাঁরা।
ঢাকা ঘোরার পর টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ হয়ে যাত্রীরা কুড়িগ্রামের চিলমারীতে যাবেন। রংপুরের দর্শনীয় স্থানেও ভ্রমণের সুযোগ থাকছে তাঁদের। এরপর চিলমারী থেকে ভারতে প্রবেশ করবে গঙ্গা বিলাস।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এ দেশের জলসীমায় জাহাজটিক সার্বিক সহযোগিতা দেবে। প্রটোকল রুটের নাব্য রক্ষা, বার্দিং সুবিধা নিশ্চিতকরণ ও নৌপথ ব্যবহারের জন্য ভয়েস পারমিশন প্রদান এবং ভয়েস পারমিশনের সার্বিক মনিটরিংয়ের দায়িত্বেও থাকবে বিআইডব্লিউটিএ। বাংলাদেশের নৌপথ অতিক্রমকালে জাহাজটিকে যথাযথ নিরাপত্তা দেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আগামী ১৩ মার্চ গঙ্গা বিলাস প্রমোদতরিটির আসামের ডিব্রুগড় থেকে একই পথে ফেরার কথা রয়েছে। জাহাজটিতে ভ্রমণের জন্য জনপ্রতি এক দিনের টিকিটের দাম ২৪ হাজার ৬৯২ রুপি। মোট ৫১ দিনের ভাড়া আসবে ১২ লাখ ৫৯ হাজার রুপি।