জাকার্তা থেকে বাংলাদেশ কোচ গোলাম মহিউদ্দিন শিপলু বলেন, ‘বিশ্বকাপ শুটিংয়ে ফাইনালে খেলা বাংলাদেশের কোনো শুটারের জন্য দারুণ ব্যাপার। আমরা কখনো ফাইনালে খেলতে পারিনি। কামরুন নাহার সেটা করে দেখিয়েছে। আমরাও যে চেষ্টা করলে পারি এটা তারই প্রমাণ। পোল্যান্ড, ডেনমার্ক, অস্ট্রিয়াসহ বিশ্বের ৫২টি দেশ অংশ নিয়েছে ইভেন্টটিতে।’
১০ মিটার এয়ার রাইফেলের বাছাইয়ে আজ ৬২৮.৪ স্কোর করে ষষ্ঠ হন কামরুন নাহার। এরপর পদকের লড়াইয়ে নামেন। গত অক্টোবরে কায়রোতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপেও আলো কাড়েন কামরুন। সেবার ৬২৯ স্কোর করেছেন, যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের কোনো শুটারের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ।
ফাইনালে উঠতে পারেননি, হয়েছেন ১৪তম। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ ও বিশ্বকাপে ফাইনাল রাউন্ড মিলিয়ে মেয়েদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে বিশ্ব সেরা দশ জন নারী শুটারের মধ্যে থাকতে পারেন কামরুন নাহার।
বাংলাদেশের সাবেক শুটার শারমিন রত্না বলেন, ‘বিশ্বকাপে ফাইনালে খেলা যে কোনো বিবেচনায় অনেক বড় সাফল্য। আজকের আগ পর্যন্ত বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে সে ১৫তম ছিল। আশা করছি সেরা ১০ এ চলে আসবে।’