ইংল্যান্ডের মাটিতে আয়ারল্যান্ড সিরিজটা ২-০ ব্যবধানে জিতে শেষ করেছে বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে শেষের দিকে কিছুটা সংগ্রাম করতে দেখা গেছে এই সিরিজেও। শেষ ম্যাচে ১৩ ওভার বাকি থাকতেই দুইশ ছোঁয়া বাংলাদেশ দলীয় সংগ্রহ তিনশো ছুঁতে পারেনি। যেটার আক্ষেপ ঝরেছে অধিনায়ক তামিম ইকবালের কণ্ঠে। সেই সঙ্গে ফুটে উঠেছে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের ফিনিশিং দুর্বলতার বিষয়ও। ২০২৩ বিশ্বকাপের দল গঠনের পথে এখন পর্যন্ত এ জায়গাটিতেই ঘাটতি দেখছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
চেমসফোর্ডে সিরিজ জয় শেষে তামিম বলছিলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, ব্যাটিংয়ে আরও ভালো করতে পারি। বিশেষ করে আজকের (রোববার) মতো পরিস্থিতিতে। প্রথম ২৫ ওভারে আমরাই বলতে গেলে দাপট দেখিয়েছি। ওভার প্রতি ছয়ের মতো করে রান তুলছিলাম। কিন্তু শেষটা ভালো করতে পারিনি। যে অবস্থায় ছিলাম, ৩০০ থেকে ৩১০ রান করা উচিত ছিল। এই একটা জায়গায় আমরা ভালো করতে পারি।’
যেই জায়গাটি নিয়ে তামিমের আক্ষেপ, সেটি মূলত ৬-৭ নম্বরে নামা ব্যাটসম্যানের কাজ, যিনি ম্যাচটা শেষ করে আসবেন। সামনেই বেশ কিছু বড় টুর্নামেন্ট থাকার কারণে এ চিন্তা আরও বাড়িয়েছে। আর আগামী বিশ্বকাপে ম্যাচ ফিনিশার হিসেবে কাকে দেখা যাবে, নতুন করে এ পুরনো প্রশ্নটাও জেগেছে।
ফিনিশার হিসেবে মাহমুদউল্লাহ, আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান, মোসাদ্দেক হোসেন, সাইফউদ্দিন, ইয়াসির আলীসহ বেশ কয়েকজনকেই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলানো হয়েছে। কিন্তু বিশ্বকাপের দলে এর মধ্যে কে থাকবেন, এখনো চূড়ান্ত করা যায়নি।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এই প্রসঙ্গ নিয়ে তামিম জানালেন, ‘এখনো (বিশ্বকাপের) এক দুটি জায়গা নিয়ে ভাবছি আমরা। আফিফ আছে, ইয়াসির আছে, রিয়াদ ভাই আছেন। যে সবচেয়ে মানানসই হবে, তাকে বিবেচনা করা হবে। অবশ্যই রিয়াদ ভাইয়ের অভিজ্ঞতা বড় ব্যাপার। আফিফের এমন কিছু আছে, যা খুব বেশি বাংলাদেশি খেলোয়াড়ের মধ্যে নেই। ওর ব্যাটিং আমি উপভোগ করি। ইয়াসিরের ক্ষেত্রেও একই কথা। আমি এখনো কিছু ঠিক করে রাখিনি। এশিয়া কাপ এলে বুঝে নিতে পারবেন, বিশ্বকাপের দল কেমন হবে।’
তামিম আরও বলেন, ‘আমার মনে হয় (দল নিয়ে) পরীক্ষা নিরীক্ষা এখন থেকে আমাদের কমানো দরকার। কারণ, বেশিরভাগ ম্যাচ যেই ১৫টা ছেলে বিশ্বকাপে থাকবে, তাদের দিতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে এটাও গুরুত্বপূর্ণ যে ১২-১৫ পর্যন্ত যারা, তাদেরকেও এক বা দুই ম্যাচ খেলানো। সবাইকে সমান ম্যাচ দেওয়া যাবে না। কেউ ৭ বা ৮টা ম্যাচ পাবে, কেউ ৩ ম্যাচ পাবে।’
আইরিশদের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে ওপেনিংয়েও পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছে বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসানের চোটে অভিষেক করানো হয় রনি তালুকদারকে। তাকে ওপেন করিয়ে চারে খেলানো হয় লিটনকে।
তামিম জানালেন ব্যাকআপ ওপেনার তৈরি রাখার ভাবনায় এই পথে হেঁটেছেন তারা, ‘বেশির ভাগ সময় আমি আর লিটনই ওপেন করি। আজ (গতকাল) রনি ওপেন করেছে। যদিও রান পায়নি। একটা মানুষকে এক ম্যাচ সুযোগ দিয়ে বদলে ফেলাটা কতটা যুক্তিযুক্ত, আমি জানি না। সব আমার হাতেও নেই। এখানে আমার সীমাবদ্ধতা আছে। (বিশ্বকাপ দল নিয়ে ভাবার) জায়গা এটা একটা। আর ৬-৭ নম্বরেও খেলোয়াড় দেখছি আমরা।’