কনফেডারেশন অব ব্রাজিল ফুটবলই (সিবিএফ) নাকি ব্রাজিলের বাইরের কাউকে কোচ করার বিষয়টি নিয়ে ভাবছে। যে কারণে ব্রাজিলিয়ানদের বাইরে ফরাসি কিংবদন্তি জিনেদিন জিদান হতে শুরু করে পর্তুগিজ কোচ হোসে মরিনিওর নামও আলোচিত হচ্ছে।
তবে ব্রাজিলের পরবর্তী প্রধান কোচ–বিষয়ক খবরে বড়সড় একটি ‘বোমা’ ফাটিয়েছে ফ্রান্সের সংবাদমাধ্যম লেকিপ। ফরাসি দৈনিকটি বলছে, জিদানের পাশাপাশি ব্রাজিলের কোচ হওয়ার দৌড়ে সিবিএফের বিবেচনায় আছেন দুই আর্জেন্টাইনও। একজন মার্সেলো গালার্দো, অপরজন মরিসিও পচেত্তিনো। দুজনই এই মুহূর্তে চাকরিহীন। চাইলে যেকোনো দলের দায়িত্ব নিতে পারবেন। সিবিএফ-ও নাকি এমন কাউকে খুঁজছে, যিনি এই মুহূর্তে দায়িত্ব নেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছেন।
লেকিপের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিবিএফ যে ধরনের কোচ খুঁজছে, তার মধ্যে আছে বিদেশি, এই মুহূর্তে কারও সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ নয় এবং ভালো মানের কাজের অভিজ্ঞতা। এসব শর্ত পূরণ করেন মার্সেলো গালার্দো, টমাস টুখেল, মরিসিও পচেত্তিনো, রবার্তো মার্তিনেজ এবং রাফায়েল বেনিতেজ। কার্লো আনচেলত্তির নামও আছে। তবে চুক্তিবদ্ধ থাকায় এখনই রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়তে চান না তিনি।
ফরাসি দৈনিকের খবরটি উল্লেখ করে সংবাদ প্রকাশ করেছে ব্রাজিলের ক্রীড়া দৈনিক লান্সও। আগামী ১০ জানুয়ারির মধ্যে নেইমারদের জন্য কোচ ঠিক করে ফেলা হবে বলে জানিয়েছে লেকিপ।
সম্ভাব্য তালিকায় বেশ কয়েকটি নাম থাকলেও দুই আর্জেন্টাইনকে নিয়ে বাড়তি কৌতূহল দেখা দিয়েছে। পচেত্তিনো আর গালার্দো, দুজনই খেলোয়াড়ি জীবনের উল্লেখযোগ্য সময় ফ্রান্সে কাটিয়েছেন। পচেত্তিনো তো এ বছরের জুলাই পর্যন্ত পিএসজির ডাগআউটেও ছিলেন।
৪৬ বছর বয়সী গালার্দো টানা আট বছর আর্জেন্টাইন ক্লাব রিভার প্লেটের দায়িত্বে ছিলেন। তাঁর অধীনে খেলেই বেড়ে উঠেছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী তরুণ হুলিয়ান আলভারেজ, এনজো ফার্নান্দেজ ও গঞ্জালো মন্তিয়েলরা।
এ বছরই দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে আপাতত ফাঁকা সময় পার করছেন গালার্দো। কিছুদিন বিশ্রাম নিয়ে আবার কোচিংয়ে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন ঘনিষ্ঠদের।
এর আগে একবার কোনো একদিন আর্জেন্টিনা দলকে কোচিং করানোর ইচ্ছার কথাও জানিয়েছিলেন ১৯৯৮ ও ২০০২ বিশ্বকাপের দলে থাকা এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার।