বিমানবন্দরের কার্গো কমপ্লেক্সে এবার ভল্ট ভেঙে অস্ত্র চুরি

0
14
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পুড়ে যাওয়া কার্গো কমপ্লেক্স

রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পুড়ে যাওয়া কার্গো কমপ্লেক্সের স্ট্রংরুম বা ভল্ট ভেঙে সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র চুরির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বিমান বাংলাদেশের পক্ষ থেকে গত ২৮ অক্টোবর বিমানবন্দর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ভল্টটিতে মোট ২১টি আগ্নেয়াস্ত্র রাখা ছিল, যার মধ্যে ১৪টি পাওয়া গেলেও ৭টি নিখোঁজ রয়েছে। চুরি যাওয়া অস্ত্রের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি অ্যাসল্ট রাইফেল ‘এম ফোর কার্বাইন’ এবং ব্রাজিলের তৈরি টরাস পিস্তল রয়েছে। তবে এসব অস্ত্র কোনো বাহিনীর কি না, তা তাৎক্ষণিক ভাবে জানা যায়নি।

শাহজালাল বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্বে থাকা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সহকারী ব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা) জামাল হোসেন এই জিডিটি করেন।
জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, গত ২৪ অক্টোবর বিকেলে কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার নেয়ামুল, বিমানের জিএম (কার্গো) নজমুল হুদা, এনএসআইয়ের অতিরিক্ত পরিচালক ফিরোজ রব্বানী এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের পরিচালক ইফতেখারসহ অন্যদের উপস্থিতিতে মালামালের তালিকা করা হয়। পরে এসব মালামাল ভল্টে রেখে শিকল দিয়ে তালা লাগিয়ে সিলগালা করা হয়েছিল।

জামাল হোসেন আরও জানান, ২৭ অক্টোবর রাত পৌনে ১০টার দিকে কর্তব্যরত ডিএমপির পুলিশ ও আনসার সদস্যরা গিয়ে সিল ও তালা সুরক্ষিত দেখেছিল। কিন্তু পরদিন সকাল ৭টার দিকে ডিউটি অফিসার জাহাঙ্গীর আলম খানের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন যে ওই স্ট্রংরুমের ভল্টের তালা লাগানো নেই। পরে সেখানে গিয়ে ভল্টের দরজায় কোনো তালা লাগানো দেখা যায়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাসলিমা আক্তার বলেন, আমরা জিডির তদন্ত করছি।

এদিকে, মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘অস্ত্র আদৌ চুরি হয়েছে কি না তা তদন্তের পরে জানাতে পারবো। চুরি হলে তখন কার মাধ্যমে হয়েছে এবং কে দায়ী তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। এখনো প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি কয়টি অস্ত্র চুরি হয়েছে।’

উল্লেখ্য, গত ১৮ অক্টোবর দুপুরে শাহজালাল বিমানবন্দরের আমদানি পণ্য রাখার কার্গো কমপ্লেক্সে আগুন লেগেছিল, যা নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রায় ২৭ ঘণ্টা সময় লাগে। ওই ঘটনার পর কেপিআইভুক্ত এ বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এখন সেখানকার ভল্ট ভেঙে অস্ত্র চুরির ঘটনা বিমানবন্দরের নিরাপত্তাকে আবারও প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.