হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রী সেবাদানকারী একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মীর কাছ থেকে সোনার ১১টি বার উদ্ধার করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। উদ্ধার করা সোনার বারের ওজন ১ কেজি ২০০ গ্রাম, যার বাজারমূল্য প্রায় ১ কোটি ২২ লাখ টাকা। ওই কর্মীর নাম মো. রাজু।
আজ শুক্রবার সকালে বারগুলো পাওয়ার ব্যাংকে লুকিয়ে রাজু পাচার করছিলেন বলে জানিয়েছেন বিমানবন্দরে কর্মরত এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক। এই পাওয়ার ব্যাংক মূলত মুঠোফোন চার্জ দেওয়ার কাজে ব্যবহার করা হয়।
বিমানবন্দরে ‘শুভেচ্ছা’ নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান যাত্রীদের লাগেজ আনা-নেওয়া ও বিভিন্ন ফরম পূরণ করার মতো টুকিটাকি কাজে সহায়তা করে থাকে। রাজু শুভেচ্ছার সিনিয়র কাস্টমার রিপ্রেজেন্টেটিভ। তাঁর বাড়ি লক্ষ্মীপুরে।
পুলিশ কর্মকর্তা জিয়াউল হক জানান, রাজু পাচারকারীর আনা সোনা বিমানবন্দর থেকে নিরাপদে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তাঁর গতিবিধি ও আচরণ ছিল সন্দেহজনক। তাঁকে অকারণে বিমানবন্দরের ১ নম্বর লাগেজ বেল্টের কাছের শৌচাগারে প্রবেশ করতে দেখা যায়। সেখানে যাত্রীদের সঙ্গে কোনো কিছু বিনিময় করেন বলে সন্দেহ করা হয়। পরে তাঁকে আটক করে আর্মড পুলিশের অফিসে এনে জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশি করা হয়। এ সময় রাজুর কাছে থাকা কালো রঙের পাওয়ার ব্যাংকের ভেতর ১০টি এবং তাঁর পকেটে সোনার একটি বার পাওয়া যায়।
রাজুকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা জিয়াউল হক বলেন, দুবাই থেকে আসা এক যাত্রীর কাছ থেকে এসব সোনার বার নিয়েছেন তিনি। বিনিময়ে ওই যাত্রী রাজুকে খুশি করে দেবেন, এমন চুক্তি হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে বিমানবন্দর থানায় মামলা হয়েছে।