পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পটুয়াখালী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. শাহজাহান খান হত্যার ঘটনায় সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীরসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ৩৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) মামলাটি দায়ের করেছেন নিহতের ছেলে জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. শিপলু খান। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরো একশ থেকে দেড়শজনকে।
মামলার আসামিরা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর, তার ছেলে মো. শাওন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. তানভীর আহম্মেদ আরিফ, সালাউদ্দীন হিরা, মো. আ. গনি, সুমন, মো. টিপু প্যাদা, মো. আতিকুর রহমান পারভেজ, মিজানুর রহমান মিজান, মো. মানিক, অলি, মো. মানিক, মো. সাহিন তালুকদার, মো. আব্দুল্লাহ তালুকদার, মো. আসিফ ফকির, মো. আকাশ, অলিউল্লাহ অলি, মো. জাহিদ, মো. ফয়সাল, মো. ইমন, আল আমিন, মো. সেলিম, মো. ইউনুচ গাজী, মো. এমদাদ হাওলাদার, মো. ইভান, মো. আরিফ, মো. ফারুক, মো. যুব, মো. বাদল ঘরামি, মিরাজ সিকদার, সাজিদ সিকদার, মো. ইয়ামিন, মো. মানসুর বয়াতী, মো. সাব্বির হোসেন, মো. মেহেদী, মো. সাব্বির হোসেন মোল্লাসহ আরো ১০০-১৫০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি রয়েছেন। তারা সকলেই জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী বলে জানা গেছে।
মামলায় মোট ১৪ জনকে সাক্ষী রাখা হয়েছে। মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়, বরিশাল বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়ার সময় ২০২২ সালের ৪ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৫টার সময় পটুয়াখালীর শিয়ালী চৌরাস্তা সংলগ্ন মো. ফারুক বিশ্বাসের চায়ের দোকানের সামনে রাস্তার উপরে তার বাবার উপর হামলা করে আসামিরা। এ সময় তার মাথায় ও পিঠে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম কোটা হয়। পরে চিকিৎসারত অবস্থায় ওই বছরের ২৮ নভেম্বর তার বাবার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মো. শাহজাহান খান পটুয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির ১নং সদস্য ছিলেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ওসি মো. জসিম। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।