বিএনপি নেতা আবু সাঈদের শাস্তির দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন

0
267
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনের সামনে প্যারিস রোডে আজ সকালে মানববন্ধন করে আওয়ামী কর্মকর্তা ও কর্মচারী পরিষদ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘হত্যার হুমকি’ দেওয়ার প্রতিবাদে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ ওরফে চাঁদের ‘দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি’র দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আওয়ামী কর্মকর্তা ও কর্মচারী পরিষদ। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনের সামনে প্যারিস রোডে এই মানববন্ধন হয়।

মানববন্ধন থেকে ‘সারা দেশে বিএনপি-জামায়াতের অশুভশক্তির সন্ত্রাস-নৈরাজ্য ও ষড়যন্ত্রমূলক অপরাজনীতির’ প্রতিবাদ জানান অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিরা।

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামী কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি সৈয়দ মেসকাত আলী বলেন, বিএনপি সব সময় হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। দেশের জনগণের প্রতি তাদের ন্যূনতম আস্থা নেই। হত্যা ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে পেছনের দরজা দিয়ে বিদেশি দূতাবাসের পা চেটে ক্ষমতায় আসার দিবাস্বপ্ন দেখছে বিএনপি। রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন। এতে বিএনপি আবারও প্রমাণ করল, তারা হত্যা-হুমকির রাজনীতি বিশ্বাস করে।

বিএনপি রাজনীতির মাঠে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন সহায়ক কর্মচারী পরিষদের সভাপতি আজম খান। তিনি বলেন, ‘বিএনপির উদ্দেশ্য কখনোই সফল হবে না। সামনে আপনাদের (বিএনপির) আরও কঠিন পরিস্থিতি আসবে। বাংলাদেশে এখন উন্নয়নের ধারা প্রবাহিত হচ্ছে, কিন্তু ঠিক সেই মুহূর্তে রাজাকারের সন্তান আবু সাঈদ চাঁদ প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দিয়েছে। আমরা চাই, তাঁকে অতি দ্রুত শাস্তির আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।’

আওয়ামী কর্মকর্তা পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক রানামুল করিমের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, সহায়ক কর্মচারী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুম, সাধারণ কর্মচারী ট্রেড ইউনিয়নের সভাপতি আবদুল আজিজ, পরিবহন টেকনিক্যাল পরিষদের সভাপতি শাহিন শেখসহ প্রায় শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.