রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের আশপাশে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশের উপস্থিতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এদিকে কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে বের হওয়ার পথে ১৫ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, তাদের ঘোষিত পদযাত্রা কর্মসূচি শেষ হওয়ার আগে থেকেই ডিবি পুলিশ বিএনপি কার্যালয়ের নিচে অবস্থান নেয়। সন্ধ্যায় দলীয় সংবাদ সম্মেলনের পর নেতাকর্মীরা বের হওয়ার সময় যাকে পেয়েছে তাকেই আটক করেছে।
বিএনপির দাবি- শনিবার বিকেল থেকেই সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘিরে রেখেছে। কার্যালয় থেকে নেতাকর্মীরা বের হলেই আটক করা হয়েছে।
কার্যালয়ের ভেতরে রাতেও বেশ কয়েকজন নেতা ছিলেন। তাদের মধ্যে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেলিমুজ্জামান সেলিমসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী।
রাত সাড়ে ১২টায় বিএনপির দুই সিনিয়র নেতার উপস্থিতিতে অন্যরা নিরাপদে কার্যালয় ছাড়েন। আটকের মধ্যে স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি ডা. জাহিদুল কবির জাহিদসহ ৫ জন রয়েছেন। যদিও মধ্যরাতে জাহিদুলকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।
১৫ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে: মির্জা আব্বাস
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস জানান, কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে বের হওয়ার পর ১৫ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সন্ধ্যা থেকে রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত দলের নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে যে বের হয়েছে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় অভিযোগ করে বলেন, গত ১৫ বছর ধরে এই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আমাদের নেতাকর্মীদের পেছনে লেগে আছে। শনিবার শান্তিপূর্ণভাবে বড় একটি পদযাত্রা কর্মসূচি হয়েছে। সেখানে তো কোনো ঘটনা ঘটেনি। তাহলে কেন নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে?
নেতাকর্মীদের আটক করা হচ্ছে খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসেন। তারা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বেশ কিছুক্ষণ অবস্থান করেন।
যাওয়ার সময় মির্জা আব্বাস বলেন, এখনও সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কার্যালয়ের আশপাশে অবস্থান করছে।