বায়ু দূষণ রোধে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে উদ্যোগের অভাব: আইপিডি

0
214
রাজধানী ও আশপাশের এলাকায় বায়ু দূষণের মাত্রা উদ্বেগজনক

রাজধানী ও আশপাশের এলাকায় বায়ু দূষণের মাত্রা উদ্বেগজনক পর্যায়ে গেলেও দূষণ নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে উদ্যোগের অভাব রয়েছে বলে মনে করে ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট (আইপিডি)।

তারা মনে করে, উন্নয়নকাজে পরিবেশ সমুন্নত রেখেই উন্নয়নের কৌশল ঠিক করা প্রয়োজন। নগর এলাকাসহ সারা দেশে অবকাঠামো নির্মাণসহ যাবতীয় উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে যথাযথভাবে বায়ু দূষণ রোধে প্রয়োজনীয় তদারকি ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

আজ শনিবার অনলাইনে আইপিডির উদ্যোগে আয়োজিত ‘রাজধানীর বিপর্যস্ত বায়ু: নগরায়নের বিদ্যমান প্রেক্ষিত ও করণীয়’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে আইপিডির পক্ষ থেকে এমন অভিমত তুলে ধরা হয়।

এতে বলা হয়, নীরব ঘাতক বায়ু দূষণের মতো অপরাধকে জনস্বাস্থ্যগত অপরাধ বিবেচনায় নিয়ে পরিবেশ আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধনী এনে যথাযথ শাস্তির বিধান প্রণয়ন করা দরকার। পাশাপাশি দূষণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও প্রতিষ্ঠানকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।

মূল প্রবন্ধে আইপিডির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, নিয়ন্ত্রণহীন ধুলা, ফিটনেসবিহীন গাড়ির অবাধ চলাচল, ইটভাটার ধোঁয়া, নিয়ন্ত্রণহীন খোঁড়াখুঁড়ি, শিল্পকারখানার ধোঁয়াসহ প্রভৃতি কারণে ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় বায়ু দূষণ ক্রমাগত বেড়েই চলছে। শুষ্ক মৌসুমে দূষণের প্রভাব থাকে সবচেয়ে বেশি।

আইপিডির উপদেষ্টা অধ্যাপক আকতার মাহমুদ বলেন, ঢাকার চেয়েও নারায়ণগঞ্জ এলাকার বায়ুমান বিপদজনক মাত্রাকে ছাড়িয়ে গেছে। কার্যকর ক্লিন এয়ার আইন করতে আমরা কেন ব্যর্থ হলাম, কারা এই আইন করতে দেয়নি- এ বিষয়গুলোর জবাব নীতিনির্ধারকদের দিতে হবে। বায়ু দূষণ রোধে কার্যকর প্রকল্প, নির্মাণ ও নগর ব্যবস্থাপনার উপর গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।

আলোচনায় আরও বক্তব্য দেন আইপিডির পরিচালক আরিফুল ইসলাম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. জামাল উদ্দিন, কানাডার সেন্ট মেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিষয়ক গবেষক মো. মনিরুজ্জামান, বাপার যুগ্ম সম্পাদক মারুফ হোসেন, পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ড. ফরহাদুর রেজা প্রমুখ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.