বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে ১৭ জন জঙ্গি সদস্য ও কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। আজ বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, দুইদিন ধরে এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে থানচির দুর্গম রেমাক্রি ইউনিয়নের নতুন ব্রিজ এলাকায় মঙ্গলবার ভোরে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলি বিনিময়ে র্যাবের আট সদস্য আহত হন।
র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) এম খুরশীদ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, জঙ্গিরা থানচি এলাকায় জড়ো হচ্ছে এমন খবর জানতে পারে র্যাব। গত ২৮ জানুয়ারি র্যাবের একটি দল রেমাক্রি এলাকায় রওনা দেয়। জঙ্গিরা রেমাক্রি নতুন ব্রিজের এলাকা দিয়ে মঙ্গলবার ভোরে পার হবে- এ খবর পেয়ে র্যাব সদস্যরা ওই এলাকার আশপাশে অবস্থান নেন। র্যাব সদস্যদের দেখে জঙ্গিরা গুলি ছুড়তে থাকে। জঙ্গিদের সঙ্গে কেএনএফের সদস্যরাও ছিল। র্যাব আত্মরক্ষায় পাল্টা গুলি ছুড়লে দুই পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময় শুরু হয়।
জানা যায়, থানচি সদর উপজেলা থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে রেমাক্রি এলাকায় হেঁটে পৌঁছাতে দুই ঘণ্টা সময় লাগে। দুর্গম হওয়ায় এ এলাকা নিরাপদ ভেবে অবস্থান নেয় জঙ্গি ও কেএনএফ সদস্যরা। মঙ্গলবার গোলাগুলির সময় জঙ্গিদের সঙ্গে যোগ দেয় কেএনএফ। গোলাগুলিতে জঙ্গিদের সহায়তা করা কেএনএফের জন্য নতুন নয়। এর আগেও কয়েকবার জঙ্গিদের দমন করতে গিয়ে র্যাবকে কেএনএফের মুখোমুখি হতে হয়েছে।
গতকাল ব্রিফিংয়ে র্যাব জানিয়েছে, কোনো পাহাড়ি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান চলছে না। জঙ্গি নির্মূলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
র্যাবের কর্মকর্তারা জানান, র্যাবের নিখোঁজ তালিকায় ৫৫ জনের নাম উল্লেখ আছে। তারা উগ্রবাদী নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সামরিক সদস্য। বান্দরবানের গহিন অরণ্যে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে কেএনএফের তত্ত্বাবধানে সামরিক প্রশিক্ষণ নিচ্ছে তারা।
র্যাব জানায়, ২০২১ সালের ১২ অক্টোবর থেকে রাঙামাটি ও বান্দরবানে জঙ্গিবিরোধী অভিযান চালাচ্ছে র্যাব। বড় আকারে অভিযান চালিয়ে ২০ অক্টোবর রাঙামাটির বিলাইছড়ির দুর্গম সাইজামপাড়া ও বান্দরবানের রোয়াংছড়ির দুর্গম এলাকা থেকে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।