যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সে দেশে উচ্চশিক্ষার প্রসার ঘটিয়ে তাদের বিশ্বমানের দক্ষতা অর্জন এবং একটি নতুন বাংলাদেশ গঠনে অবদান রাখার মতো যোগ্যতাসম্পন্ন করে গড়ে তুলতে দুই দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানের এডওয়ার্ড এম কেনেডি (ইএমকে) সেন্টারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে মার্কিন দূতাবাসের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কাউন্সেলর স্টিফেন ইবেলি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা আমেরিকান শিক্ষার প্রসারে আগ্রহী, যেন বাংলাদেশিরা বিশ্বমানের আমেরিকান শিক্ষা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে এসে নতুন বাংলাদেশে অবদান রাখতে পারেন।
আনুমানিক ১৪ হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে নথিভুক্ত রয়েছেন, যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ- বলেন ইবেলি।
দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারের জন্য শিক্ষা বিনিময়ের সম্ভাবনার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, এটি আমাদের দুদেশের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনের একটি চমৎকার উপায়।
একাডেমিক প্রোগ্রামের পাশাপাশি মার্কিন দূতাবাস পেশাজীবী বিনিময় সফরেরও সুবিধা দেয়। এর আওতায় প্রতি বছর প্রায় ১০০ বাংলাদেশি পেশাদারকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়।
স্টিফেন ইবেলি বলেন, আমরা সর্বদাই বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে আগ্রহী।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চার হাজারেরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের একাডেমিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য যথেষ্ট সুযোগ দেয়।
মার্কিন দূতাবাসের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা, বরিশাল ও রাজশাহীতে অবস্থিত এডুকেশনইউএসএ কেন্দ্রগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নের বিষয়ে বিনামূল্যে তথ্য ও নির্দেশিকা দেয়। তিনি শিক্ষার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালগুলোর তথ্যের জন্য দালালদের কোনো অর্থ না দেওয়ার আহ্বান জানান। কারণ এডুকেশনইউএসএ কেন্দ্রগুলোতে প্রয়োজনীয় সব বিবরণ বিনামূল্যে পাওয়া যায়।
আগের দিন বুধবার (২ অক্টোবর) স্টিফেন ইবেলি ও মার্কিন দূতাবাসের অন্য কর্মকর্তারা ইএমকে সেন্টারে একটি সেশন চলাকালীন জাগো স্কুলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একটি ইন্টারেক্টিভ ও অনানুষ্ঠানিক সেটিংয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষার সুযোগ নিয়ে আলোচনা করেছিলেন।
অধিবেশনটিতে ইউএস-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ওপরও কথাবার্তা হয়েছিল। ইবেলি সেখানে দুদেশের মধ্যে সেতু হিসেবে শিক্ষার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছিলেন। জাগো ফাউন্ডেশন একটি অলাভজনক সংস্থা, বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা ও সামাজিক সহায়তা প্রদানের জন্য নিবেদিত।
ফাউন্ডেশনের ১১টি স্কুল সারাদেশে ৪ হাজার ৫০০টিরও বেশি শিক্ষার্থীকে সেবা দেয়। এগুলো প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নত করতে বিনামূল্যে শিক্ষা দেয়। দুদেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক ও একাডেমিক সম্পর্ক আরও গভীর করার লক্ষ্যে বাংলাদেশে শিক্ষামূলক উদ্যোগকে সমর্থন করতে যুক্তরাষ্ট্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সূত্র: বাসস