শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণের বাইরে থাকা ৯ লাখ তরুণ-তরুণীর জন্য সরকারের নেওয়া প্রকল্পে ৩০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। রোববার এই ঋণ বিষয়ে সরকারের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে সংস্থাটি।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ইআরডি সচিব শরিফা খান এবং বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক এ ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
ইকোনমিক এক্সিলারেশন অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স ফর এনইইটি (ইএআরএন) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এ ঋণ দেওয়া হচ্ছে। এনইইটি বলতে ‘নট ইন এডুকেশন, এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ট্রেইনিং’ অর্থাৎ শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণের বাইরে থাকা মানুষকে বোঝানো হয়ে থাকে।
বিশ্বব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ প্রকল্পের আওতায় এনইইটি বা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হতে না পারা ৯ লাখ তরুণ-তরুণীর জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও বিকল্প শিক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। তাদের মধ্যে ৬০ শতাংশই থাকবে নারী। তরুণ-তরুণীদের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে উঠতেও সহায়তা করা হবে।
ইআরডি জানায়, বিশ্বব্যাংকের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (আইডিএ) থেকে এ ঋণ নেওয়া হবে। পাঁচ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরে এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে। এতে সার্ভিস চার্জ পড়বে শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে। আর সুদের হার ১ দশমিক ২৫ শতাংশ।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর এই প্রকল্পের প্রধান বাস্তবায়নকারী সংস্থা। সহায়ক বাস্তবায়নকারী হিসেবে থাকছে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ। ২০২৩ সালের জুলাই থেকে শুরু হওয়া প্রকল্পটি চলবে ২০২৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। গত এপ্রিলে প্রকল্পটি অনুমোদন করেছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।
জানা গেছে, প্রকল্পটির আওতায় বেশ কিছু ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হবে। বর্তমান বাজারের পাশাপাশি ভবিষ্যতেও চাহিদা থাকবে– এমন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে তরুণ-তরুণীদের। উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে উঠতে অর্থায়ন ও মেন্টরশিপ সহায়তাও দেওয়া হবে।