যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে ব্লিঙ্কেন এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সহায়তা দিতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। গণতান্ত্রিক রীতিনীতি, সুশাসন, মানবাধিকার এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রতি নিজেদের অঙ্গীকারের কথা উল্লেখ করে ব্লিঙ্কেন বলেন, উন্নয়ন, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধ সমাজ গড়তে এসব গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি। তিনি (ব্লিঙ্কেন) বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশ নিজের বিশাল সম্ভাবনা দিয়ে এসব অর্জন করবে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিনি আগামী বছরগুলোয় বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্ব আরও গভীর করতে আগ্রহী। বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্ব এবং গত পাঁচ দশকের অর্জনে যুক্তরাষ্ট্র গর্বিত। তিনি আরও বলেন, ‘অতি সম্প্রতি আমরা করোনাভাইরাস মোকাবিলা, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক পরিস্থিতি মোকাবিলা এবং একটি মুক্ত ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল প্রতিষ্ঠার জন্য একসঙ্গে কাজ করে সত্যিকার অর্থে অগ্রগতি অর্জন করেছি।’
মিয়ানমারে নৃশংসতার শিকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দেওয়ার প্রশংসা করে ব্লিঙ্কেন বলেন, গণহত্যার মুখে পড়ে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ মানবতার প্রতি তার অঙ্গীকার তুলে ধরেছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পরিবেশ সুরক্ষা এবং জলবায়ু সহনশীলতার ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ জোরালো নেতৃত্ব দেখিয়েছে।