বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। সোমবার সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়, যা একটানা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
এই দুই সিটি করপোরেশনের ৪১৫টি কেন্দ্রের সবগুলোতেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেওয়া হচ্ছে। এর আগে গত ২৫ মে অনুষ্ঠিত গাজীপুর সিটি নির্বাচনেও সব কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট নেওয়া হয়।
বরিশাল সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন সাতজন। এদের মধ্যে দলীয়ভাবে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছে চারজন। তাঁরা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ (নৌকা), জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. ইকবাল হোসেন (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুফতী সৈয়দ মো. ফয়জুল করিম (হাত পাখা) ও জাকের পার্টির প্রার্থী মিজানুর রহমান বাচ্চু (গোলাপফুল)। বাকি তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন। তাঁরা হলেন- মো. আলী হোসেন হাওলাদার (হরিণ), মো. আসাদুজ্জামান (হাতি) ও মো. কামরুল আহসান (টেবিল ঘড়ি)।
এ ছাড়া বরিশাল সিটি করপোরেশনে ৩০টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১১৬ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর পদে ৪২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বরিশাল সিটি নির্বাচনে মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১২৬টি। এই সিটিতে মোট ভোটার ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৮৯ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮০৯ জন।
অপরদিকে খুলনা সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন পাঁচজন। এদের মধ্যে চারজন দলীয়ভাবে প্রার্থী হয়েছে। তাঁরা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক (নৌকা), জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. শফিকুল ইসলাম মধু (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মো. আ. আউয়াল (হাত পাখা) ও জাকের পার্টির প্রার্থী এস এম সাব্বির হোসেন (গোলাপফুল)। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়ছেন এস এম শফিকুর রহমান (টেবিল ঘড়ি)।
এ ছাড়া খুলনা সিটি করপোরেশনের সাধারণ ৩১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৯টি ওয়ার্ডে ১৩৪ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নগরীর ১৩নং ওয়ার্ডে এস এম খুরশিদ আহমেদ টোনা এবং ২৪নং ওয়ার্ডে জেড এ মাহমুদ ডন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
খুলনা সিটি নির্বাচনে মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ২৮৯টি। এই সিটিতে মোট ভোটার ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৮ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন এবং নারী ভোটার ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন।